মোদী সরকারের নাম বদলের মিশনে এবার লক্ষ্য সামরিক বাহিনী
এবার সামরিক বাহিনীর খোলনলচে বদলানোর ভাবনাচিন্তা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাদের মতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও পূর্বতন ‘ইন্ডিয়ান রয়্যাল আর্মি’র বহু অনুষঙ্গ ভারতীয় সেনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার সামরিক বাহিনীর খোলনলচে বদলানোর ভাবনাচিন্তা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাদের মতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও পূর্বতন ‘ইন্ডিয়ান রয়্যাল আর্মি’র বহু অনুষঙ্গ ভারতীয় সেনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে। যা আদতে ওই ‘রয়্যাল’ শব্দেরই অনুসারী। অর্থাৎ ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ছাপ থেকে যাচ্ছে। নৌবাহিনীর ক্ষেত্রে একের পর এক পরিবর্তন হয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকার নকশায় বদল ঘটেছে। সম্প্রতি স্থির হয়েছে, নৌবাহিনীর জওয়ান ও অফিসারদের কাঁধে যে ব্যাজ থাকে, তার নকশার ভারতীয়করণ করা হবে।
ছত্রপতি শিবাজির নৌবাহিনীর যে প্রতীক ছিল, তারই আদল দেওয়া হবে। অর্থাৎ ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ভারতকে ‘মুক্ত’ করার আরও এক পদক্ষেপ। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর যে নানাবিধ পদ রয়েছে, সেই পদের নাম বদলে দেওয়া নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রেও প্রাথমিকভাবে নৌবাহিনী দিয়ে শুরু হবে পরিবর্তন। পিওবিআর অর্থাৎ পার্সোনেল বিলো অফিসার র্যাঙ্কের নৌসেনাদের পদের নামে আনা হবে ভারতীয়ত্ব। মাস্টার পেটি অফিসার, লিডিং সি মেন, সি মেন ইত্যাদি পদ আর থাকবে না। বদলে আনা হবে ভারতীয় নাম। ভারতীয় সেনার ক্ষেত্রেও প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছিল ব্রিগেডিয়ার ও তার ঊর্ধ্বতন পদের ক্ষেত্রে সকলের উর্দি একইরকম হবে। কোনও পার্থক্য থাকবে না। অবশ্যই সিনিয়র কিংবা ঊর্ধ্বতন অফিসারদের জন্য চিহ্ন, ব্যাজ, এমব্লেম থাকবে। কিন্তু উর্দির ফারাক হবে না।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই নিয়ে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করবে। বাহিনীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ কমিটির সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। মোদি সরকারের বক্তব্য, ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী। তাই বাহিনীর মধ্যে সম্পূর্ণ ভারতীয় স্বাক্ষর থাকাই কাম্য। উল্লেখ্য, টাকা, সংসদ ভবন, ইতিহাস, প্রতিষ্ঠানের নাম লাগাতার বদল করেছে মোদী সরকার। দেড়শো বছরের পুরনো অপরাধ আইনের নাম সম্প্রতি বদলে দেওয়া হয়েছে। এবার তাদের লক্ষ্য দেশের সামরিক বাহিনী।