সন্তানহারা দম্পতিদের শেষ সম্বল IVF-এ মোদী আইনের গেরো

বাবা-মায়ের একমাত্র সম্বল চলে যাওয়ার পরে তারা যদি আইভিএফ-এর মাধ্যমে একটি সন্তানলাভের সিদ্ধান্ত নেন, সেখানেও পথ রুখছে আইন।

February 15, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নিঃসন্তান বা বেশি বয়সে একমাত্র সন্তান হারানো দম্পতিদের কাছে আশীর্বাদ হল আইভিএফ। কিন্তু আইনের গেরোয় সে পথও রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দম্পতির। আজকাল অধিকাংশ পরিবারেই একটি মাত্র সন্তান, কিন্তু কোনও কারণে সেই একমাত্র সন্তান যদি মারা যায়। বাবা-মায়ের একমাত্র সম্বল চলে যাওয়ার পরে তারা যদি আইভিএফ-এর মাধ্যমে একটি সন্তানলাভের সিদ্ধান্ত নেন, সেখানেও পথ রুখছে আইন।

দুর্ঘটনা, রোগভোগসহ নানান কারণে অকালে চলে যাওয়া সন্তানদের বাবা-মাদের আর পরিত্রাণের উপায় নেই। মায়ের বয়স ৫০, বাবার ৫৫ হলেই আইভিএফ নিয়ে সরাসরি না বলে দিচ্ছেন প্রজননবিদরা। বন্ধ্যাত্বর চিকিৎসায় ‘অ্যাসিস্টেট রিপ্রোডাকটিভ রেগুলেশন আইন’ অনুসারে, দম্পতিদের ক্ষেত্রে স্ত্রীর বয়স ৫০ বছরের বেশি এবং স্বামীর বয়স ৫৫ বছরের বেশি হলেই আর টেস্ট টিউব বেবি তথা আইভিএফ-এর মাধ্যমে সন্তানলাভ করা যাবে না। এ প্রসঙ্গে মোদী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বক্তব্য, ৫০-৫৫ বছর বয়সী বাবা-মারা সন্তান মানুষ করবেন কবে? জন্ম দিয়ে তারপর শিশুকে অনাথ করার কোনও মানে হয় না। প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চাশের পর মা হলে প্রসবকালীন জটিলতার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সুগার ও প্রেসার থাকায় প্রসবকালে মা ও সন্তানের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে। বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা আইভিএফের মাধ্যমে সন্তানলাভের আশায় আসেন, তাদের ২০ শতাংশের বয়স পঞ্চাশের বেশি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দম্পতিদের এক বা দুটি সন্তানই অকালে মারা গিয়েছে।

চিকিৎসকদের মধ্যে কেউ কেউ এই আইনকে বাস্তবসম্মত বলছেন। কিন্তু কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মত, একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর পর একাকী, অবসাদগ্রস্ত দম্পতিরা কী করবেন? তাদের মত, কিছু কিছু ব্য‌তিক্রমী ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই পথ খোলা রাখা প্রয়োজন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen