উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় কোভিড মৃতদেহ নিয়ে বই প্রকাশ, অস্বস্তিতে মোদী-যোগী সরকার

বইয়ের একটি অংশে বলা হয়েছে, মহামারীর কারণে মৃতদেহের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সৎকারের স্থান ও শ্মশান ঘাটগুলিও উপচে পড়ে। সহজে দেহ ফেলার স্থান হয়ে পড়ে গঙ্গা।

December 25, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

সামনেই উত্তরপ্রদেশ ভোট। শুধু ‘প্রভু রাম’ ও ‘গোমাতা’ নয়, মোদী-যোগীর প্রচারে বারবার উঠে আসছে ‘মা গঙ্গা’-ও। কিন্তু, ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের এই প্রচারে বড় ধাক্কা। নেপথ্যে ‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচির প্রধান রাজীবরঞ্জন মিশ্রের সদ্য প্রকাশিত বই। সেখানে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ‘সহজে মৃতদেহ ফেলার স্থান ছিল গঙ্গা’। ভাসানো হয়েছিল ৩০০ দেহ। ‘নমামি গঙ্গে’ প্রধানের পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’র ডিরেক্টর জেনারেল পদেও রয়েছেন রাজীবরঞ্জন। তাঁর এই স্বীকারোক্তি ভোটের আগে স্বাভাবিকভাবেই মোদী-যোগীর অস্বস্তি বাড়াল। মোদী-যোগীর অস্বস্তি বাড়ানো এই বইয়ের নাম ‘গঙ্গা: রিইম্যাজিনিং, রিজুভিনেটিং, রিকানেকটিং’। রাজীবরঞ্জনের পাশাপাশি বইয়ের যৌথ লেখক আইডিএএস অফিসার পুষ্কল উপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার বইটি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়। বইয়ে দাবি করা হয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গঙ্গায় মৃতদেহ ফেলার ঘটনা ঘটেছিল শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই। ‘নমামি গঙ্গে’ প্রধানের দাবি, মূলত কনৌজ ও বালিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে দেহ ভাসানো হয়েছিল। বিহারে যে দেহগুলি পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলি উত্তরপ্রদেশ থেকেই ভেসে এসেছিল। বইয়ের একটি অংশে বলা হয়েছে, মহামারীর কারণে মৃতদেহের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সৎকারের স্থান ও শ্মশান ঘাটগুলিও উপচে পড়ে। সহজে দেহ ফেলার স্থান হয়ে পড়ে গঙ্গা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen