দলিত সাহিত্য কর্মীদের জন্যে টিকার ব্যবস্থা করলেন বিধায়ক মনোরঞ্জন

কখনও পেটের দায়ে রিক্সা টেনেছেন, কখনও আবার রাঁধুনির কাজ করেছেন।

June 27, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

শব্দটা ছিল অমানবিকতা। সংবাদমাধ্যমের সামনে এই শব্দটি বলতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেয়েছিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী (Manoranjan Byapari)। তাঁকে নিয়ে রীতিমতো ট্রোল (Troll) শুরু হয়ে যায়। সোশ্য়াল মিডিয়ায় একেবারে হাসিঠাট্টার বান ডাকে। তবে অনেকে আবার বিধায়কের পাশে দাঁড়ান। তবে বিধায়ক নিজেই তাঁর এই ভিডিও, তাঁর ট্রোলের ভিডিও নিজেই একাধিকবার শেয়ার করেন তাঁর ফেসবুকের পাতায়। শুধু তাই নয়, মজা করে তার জবাবও দিয়েছেন তিনি। কেন আটকে গেল জিভ, সেকথা একেবারে ভিডিও পোস্ট করে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। এরপর তিনি লিখেছেন আর মোবাইলটা হাতে ধরে রাখা যাচ্ছে না এত গরম হয়ে গিয়েছে। আমার মুখে আটকে যাওয়া অমানবিকতা শব্দটা নিয়ে এত ট্রোল হচ্ছে যে ফেসবুক দুনিয়া আগুন। এবার বর্ডার পার হয়ে বাংলাদেশ থেকেও ট্রোল আসছে। আমি চাই এটা চলতে থাকুক। যতক্ষণ ওদের জিভও আমার মতো আটকে না যায়। ফেসবুকে লিখেছেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বলা যায় একেবারে মোক্ষম জবাব। তবে এই পোস্টের সঙ্গেই একটি ভিডিও তিনি পোস্ট করেছিলেন। সেটি পরে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।

তবে বাসিন্দাদের মতে, তিনি শুধু বিধায়ক নন। আরও একটা পরিচয় তাঁর রয়েছে। তিনি দলিত সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি। দীর্ঘ সংগ্রামের জীবন। কখনও পেটের দায়ে রিক্সা টেনেছেন, কখনও আবার রাঁধুনির কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বিধায়ক। কিন্তু কোথাও যেন ফেলে আসা দিনগুলোকে তিনি ভুলতে পারেননি। নিজে টোটো চালিয়েই পৌঁছে যাচ্ছেন বাসিন্দাদের দুয়ারে। বাসিন্দাদের মতে, হয়তো এলিট সোসাইটির সেই ঝকঝকে পালিশ নেই তাঁর মধ্যে। কিন্তু সেই মনোরঞ্জনই দাঁড়াচ্ছেন এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে। দলিত সাহিত্য কর্মীদের টিকার ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। অমানবিকতা শব্দ হয়তো আটকে গিয়েছে মুখে, কিন্তু হৃদয় জুড়ে শুধুই মানবিক বিধায়ক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen