এপ্রিল মাসে দেশে কর্মহীন আরও ৭০ লক্ষ, প্রশ্নের মুখে মোদি সরকার
সবমিলিয়ে ভারতের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা।

করোনা শুধু প্রাণ নিয়েছে তা নয়, কেড়ে নিয়েছে রোজগার। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দেশের বহু মানুষ। যার জেরে এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে যখন গোটা দেশ হিমশিম খাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্য লকডাউনের পথ বেছে নিচ্ছে, তখনই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা শোনাল ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেস। ফলে সবমিলিয়ে ভারতের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা।
করোনা মোবাবিলায় গত বছর মার্চ মাস থেকে দেশজোড়া কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার জেরে কয়েক লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। পরে আনলক পর্ব এবং একাধিক আর্থিক প্যাকেজের জেরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করতেই দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই অবস্থায় লকডাউনকে শেষ অস্ত্র জানিয়ে সংক্রমণ রোধে রাজ্যগুলিকে অন্যান্য কড়া বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন রাজ্য নাইট কার্ফু, উইকএন্ড লকডাউন জারি করেছে। ফলে গত মাসে ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। মার্চ মাসে বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭.৯৭ শতাংশ। এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই) নামে এক বেসরকারি সংস্থা।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহেশ ব্যাস বলেন, ‘কর্মসংস্থান তৈরিতে ধস নেমেছে। এর জন্য লকডাউন দায়ী হতে পারে। এখন যেহেতু ভাইরাসটি শক্তিশালী হয়ে পড়েছে এবং আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর জোর দিতে বলা হচ্ছে, তাই মে মাস পর্যন্ত অনিশ্চয়তা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।’ অন্যদিকে, দেশের অর্থনীতি নিয়েও অশনি সঙ্কেত শুনিয়েছে ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেস। তারা জানিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপির হার হতে পারে ১০ শতাংশ। একইসঙ্গে স্থানীয় স্তরে লকডাউনেরও বিরোধিতা করেছে ওই সংস্থা। বার্কলেস জানিয়েছে, জুন মাস পর্যন্ত এইভাবে লকডাউন চলতে থাকলে ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে।