সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরের অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দেওয়ার ক্ষমতাই নেই বিরোধীদের!
বিজেপির জেলা সভাপতি সুজিত দাস লড়াই করবেন। তবে তৃণমূল দুই কেন্দ্রেই লড়াই হালকাভাবে না নিয়ে ভোট ঘোষণা হওয়ার পরদিন থেকেই ময়দানে নেমেছে।

সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দেওয়ার ক্ষমতাই নেই বিজেপি এবং কংগ্রেস-সিপিএম জোট শিবিরের। ভোটে জেলায় খাতা খুলতে না পেরে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা মুষড়ে পড়েছেন। তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যে শাসকদলে যোগ দিয়েছেন। সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের নিজেদের কোন্দল অনেক আগেই তাদের কাহিল করে রেখেছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি কোনওদিনই ফ্যাক্টর ছিল না। সময়ে ভোট হলে তারা জঙ্গিপুরে লড়াই দিতে পারত। কিন্তু এখন সেখানে তাদের সংগঠনের ছন্নছাড়া অবস্থা বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এই কেন্দ্রে বিজেপির জেলা সভাপতি সুজিত দাস লড়াই করবেন। তবে তৃণমূল দুই কেন্দ্রেই লড়াই হালকাভাবে না নিয়ে ভোট ঘোষণা হওয়ার পরদিন থেকেই ময়দানে নেমেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ২৩১টি মূল বুথ রয়েছে। অক্সিলারি বুথের সংখ্যা ৯৮। পোলিং স্টেশন ৩২৯টি রয়েছে। মোট বিএলও’র সংখ্যা ২৩১। এই বিধানসভা কেন্দ্রে মোট দু’লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৫০ জন ভোটার রয়েছে। তারমধ্যে এক লক্ষ ১৬ হাজার ৩৭৫ জন পুরুষ। এক লক্ষ ২১হাজার ৩৭৩ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৫৯ টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। অক্সিলারি পোলিং স্টেশন ১০৪। এখানে মোট দু’লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৯৮ জন ভোটার রয়েছেন। ৮০ঊর্ধ্ব ভোটারের সংখ্যা দু’হাজার ৫৩৫। তৃণমূল জানিয়েছে, দুই বিধানসভা কেন্দ্রে তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবে। অধিকাংশ বুথে এজেন্টও ঠিক হয়ে রয়েছে। জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, জয় নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আগেরবারের চেয়েও বেশি মার্জিনে জয়ী হব। সব বুথে বিরোধী দলগুলির কর্মী-সমর্থক নেই। তাই তারা লড়াই দেওয়ার জায়গায় নেই। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই কেন্দ্রে তারা পুরনো প্রার্থীদেরই রেখে দিচ্ছে। তবে দলের কর্মীরা নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী নয়। সামশেরগঞ্জে জমানত রক্ষা করাই দায় হয়ে উঠেছে।বিজেপির জেলা সভাপতি সুজিত দাস বলেন, আমরা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করব। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ দেখেছেন জেলার বাসিন্দারা। তাই তাঁরা বিবেচনা করে নিশ্চয়ই ভোট দেবেন। সব বুথেই আমরা এজেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে ভোটে কী হবে জানি না।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভার ফল ঘোষণা হওয়ার পরই সামশেরগঞ্জে তাদের প্রার্থী বেঁকে বসেছিলেন। তিনি লড়াই করতে চান না বলে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় তাঁকে কংগ্রেস সরাতে পারছে না। এখানে দলের কর্মীদের অনেকেই তৃণমূলের দিকে চলে গিয়েছে। তাই এখানে সব বুথে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে তারা সংশয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের জেলা নেতা মহফুজ আলম ডালিম বলেন, আমরা জইদুল রহমানকে প্রার্থী হিসেবে আগেই ঘোষণা করেছি। তিনি সেই সময় রাজি ছিলেন। পরে মত বদল করেন। তবে আমরা নিশ্চিত উনিই দলের প্রার্থী হয়ে লড়বেন। সামশেরগঞ্জে আমাদের কর্মী-সমর্থক ভালোই রয়েছে। তাই সব বুথে এজেন্ট দিতে পারব বলেই আমরা আশা করছি।