কল্যাণীতে ব্যর্থ বিজেপির বন্‌ধ, জনজীবন স্বাভাবিক

১২ ঘণ্টার বন্‌ধে অধিকাংশ সময়েই সচল ছিল যান চলাচল। যদিও দোকানপাট বন্ধ ছিল কল্যাণীর বিভিন্ন অংশে।

November 2, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

দলীয় কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের প্রতিবাদে আজ বিজেপির ডাকা কল্যাণী (Kalyani) বন্‌ধের প্রভাব তেমন পড়ল না এলাকায়। ১২ ঘণ্টার বন্‌ধে অধিকাংশ সময়েই সচল ছিল যান চলাচল। যদিও দোকানপাট বন্ধ ছিল কল্যাণীর বিভিন্ন অংশে।

রবিবার সকালে নদিয়ার গয়েশপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বিজেপি (BJP) কর্মী বিজয় শীলের দেহ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগে সরব হয়ে ওঠে বিজেপি। মুহূর্তে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তখনই বিজেপি নেতৃত্ব সোমবার ১২ ঘণ্টার জন্য কল্যাণী বন্‌ধের ডাক দেয়। থানা ঘেরাও কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করে।

দিনভর এনিয়ে উত্তেজনা ছিল গয়েশপুরে। এরপর সন্ধেবেলাও স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর উপর হামলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। তাতে আরও সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। জগন্নাথ সরকারের অনুগামীদের পালটা স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘এবার থানা জ্বলবে।’ বিজয় শীলের মৃত্যু নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেন, ”রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়ছে, তাই আতঙ্ক তৈরি করতে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে।” নাম না করলেও এ বিষয়ে তাঁর এবং বিজেপি নেতাদের সকলের নিশানায় যে রাজ্যের শাসকদল এবং পুলিশের ভূমিকা, তা স্পষ্ট তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিক্রিয়ায়। আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যে অমিত শাহ আসার আগে এই ইস্যুতে যে বিজেপি নতুন করে সুর চড়াবে, তেমনই ধারণা ছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বিজেপির ডাকা কল্যাণী বন্‌ধের তেমন প্রভাব পড়ল না। সকালে বন্‌ধ সমর্থনের জন্য মিছিল বের করেছিলেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। কিন্তু তাতে তেমন সাড়া পড়েনি বলেই দাবি তৃণমূলের। দোকানপাট সব বন্ধ থাকলেও, যানচলাচল একেবারেই স্বাভাবিক ছিল কল্যাণীতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের আর কোথাও দেখা যায়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির বন্‌ধকে আদৌ গুরুত্বই দেননি সাধারণ বাসিন্দারা। ফলে বন্‌ধ কার্যত ‘ফ্লপ’ বলেই দাবি তাঁদের। বিজেপির তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen