সত্যতা যাচাই নয়, কপি-পেস্টেই আনন্দ! সমীক্ষায় বিস্ফোরক তথ্য

কেন্দ্রের প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে যেকোনও তথ্য, ছবি বা নথি ‘কপি-পেস্ট’ করতে যথেষ্ট পটু দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ।

October 17, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি কর হোক বা যেকোনও ঘটনায় জনমত তৈরিতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোনও নির্দিষ্ট বার্তা মুহূর্তে পৌঁছে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অজস্র খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সত্যতা যাচাই না করেই তা ‘কপি-পেস্ট’ করে অন্যদের পাঠিয়ে দেন অনেকে। কেন্দ্রের প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে যেকোনও তথ্য, ছবি বা নথি ‘কপি-পেস্ট’ করতে যথেষ্ট পটু দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ।

পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের ৯ অক্টোবর প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে আসা তথ্য, ছবি, ইত্যাদি অন্যত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে কত শতাংশ মানুষ সক্ষম, তাও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়। শেষ তিন মাসে কতজন তথ্য কপি-পেস্ট করে অন্যত্র পাঠিয়েছেন, দেখানো হয়েছে সমীক্ষায়। দেখা যাচ্ছে, দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৪৬.১ শতাংশ মানুষ কপি-পেস্ট’ করে থাকেন। বাংলার ক্ষেত্রে হার ৪০.৩ শতাংশ। দেশে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি।

পুরুষদের মধ্যে ৫৪.২ শতাংশ তাঁদের কাছে আসা তথ্য ‘কপি-পেস্ট’ করে অন্যত্র পাঠায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ৩৭.৬ শতাংশ। গ্রামের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে শহর। শহরাঞ্চলের ৬০.২ শতাংশ মানুষ কপি-পেস্টে অভ্যস্ত। গ্রামীণ এলাকার ৩৯.৮ শতাংশ বসবাসকারীর মধ্যে এমন প্রবণতা দেখা যায়।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশ তথা রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে এহেন সমীক্ষা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কোনও খবর এলে সত্যতা যাচাই না-করেই ‘কপি-পেস্ট’ করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। দেশের যেকোনও বড় ঘটনাতেই ‘ফেক নিউজ’ ছড়ানোর অভিযোগ উঠছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনকে। এই সমীক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen