ফেলুদা নয়, বোসপুকুরে রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের ছায়া! বাবার পচাগলা দেহ আগলে মেয়ে

December 9, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:২৮: আবারও খাস কলকাতায় রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের প্রতিচ্ছবি। বদ্ধ ঘরে বাবার পচাগলা দেহ আগলে বসেছিলেন মা ও মেয়ে। সোমবার স্থানীয়দের তৎপরতায় দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম সুমিত সেন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার কবসার বোসপুকুরের এক আবাসনে।

৬৪ বছরের সুমিত সেন কবে, কীভাবে, মারা গিয়েছেন তা জানা যায়নি এখনও। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরে সেন পরিবারের তিন সদস্যই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। জানা গিয়েছে, বোসপুকুরের ওই আবাসনের একতলায় স্ত্রী অর্চনা সেন ও কন্যা সম্প্রীতি সেনের সঙ্গে থাকতেন সুমিত। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। অবসরের পর স্থানীয়রাই তাঁদের দেখাশোনা করতেন। বাড়ি থেকে খুব একটা বেরোতেন না তাঁরা।

খবর মিলেছে, গত তিন দিন ধরে সুমিতের পরিবারের কাউকে আবাসনের বাইরে দেখতে পাওয়া যায়নি। দরজা বন্ধ ছিল। তাতেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। সেন পরিবারের এক আত্মীয়কে ফোন করে বিষয়টি জানান স্থানীয়রা। সেই আত্মীয় সুমিতের কন্যা সম্প্রীতিকে ফোন করে পরিবারের খোঁজ নেন। সম্প্রীতি ফোনে জানাতেন তাঁর মা-বাবা ভাল আছেন। মা-বাবাকে ফোন দিতে বললে ফোন দিতেন না। সন্দেহ বাড়তে থাকে। সোমবার ওই আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা সুমিতের আবাসনে যান। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকির পরও কেউ দরজা খোলেননি বলে আভিযোগ। এর পর তাঁরা কসবা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে, ঘরের মধ্যে পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুমিতের দেহ। তাঁকে আগলে রেখেছেন তাঁর মেয়ে। দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে ঘর থেকে। অন্যদিকে, খাটের তলায় বস্তা থেকে মৃতের স্ত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

২০১৫ সালে রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ড কলকাতাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এক বৃদ্ধের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারের সময় জানা যায়, দীর্ঘকাল ধরে ওই বাড়িতেই রাখা ছিল এক মহিলার কঙ্কাল। কঙ্কালটি ছিল বৃদ্ধের মেয়ের। বৃদ্ধের পুত্র পার্থ দে ছিলেন জীবিত। ২০১৭ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন পার্থ। কসবা, গড়ফা, নেতাজিনগর, সল্টলেকেও বিভিন্ন সময় এমন পরিজনের মৃত আগলে থাকার ঘটনা দেখা গিয়েছে। একই ধরনের ঘটনা দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, বর্ধমানের মতো একাধিক জায়গায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen