অপমান ও লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগে বিস্ফোরক লভলিনা, তদন্তে নেমেছে IOA ও ক্রীড়ামন্ত্রক
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, “আমি তদন্ত কমিটির উপর পূর্ণ আস্থা রাখছি। রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করব না।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:১৫: অলিম্পিক ব্রোঞ্জজয়ী ও খেলরত্ন, অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত বক্সার লভলিনা বরগোহাঁইন ভারতের ক্রীড়াজগতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন তাঁর সাম্প্রতিক অভিযোগে। দেশের ক্রীড়াব্যবস্থার শীর্ষ পর্যায়ে এক ‘অসম্মানজনক ও নারী-বিরোধী’ আচরণের অভিযোগ তুলে তিনি আঙুল তুলেছেন বক্সিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (BFI) এক উচ্চপদস্থ কর্তার দিকে। অভিযোগ উঠেছে BFI-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য(অবসরপ্রাপ্ত) কর্নেল অরুণ মালিকের বিরুদ্ধে।
লভলিনার অভিযোগ, গত ৮ জুলাই এক জুম মিটিংয়ে তাঁকে “অহংকারী ও অপমানজনক” ভাষায় কথা শোনানো হয়। তাঁর কথায়, “আমাকে চিৎকার করে বলা হয়েছে — ‘চুপ থাকো, মাথা নিচু করো, আমাদের কথা মেনে চলো।’ এটা কেবল আমার ব্যক্তিগত অপমান নয়, এটা সব নারী ক্রীড়াবিদের জন্য অপমানের।”
উল্লেখ্য, এই ভার্চুয়াল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল আসন্ন AIBA মহিলা ওয়ার্ল্ড বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ (৪-১৪ সেপ্টেম্বর, লিভারপুল) উপলক্ষে লভলিনার প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করতে। লভলিনা চাইছিলেন বিদেশে অনুশীলনের অনুমতি এবং তাঁর দীর্ঘদিনের কোচ প্রণমিকা বোরাকে জাতীয় ক্যাম্পে তাঁর সঙ্গে রাখার অনুমোদন। কিন্তু অভিযোগ, কর্নেল মালিক এই সমস্ত অনুরোধ শোনার আগেই সব বিষয় উড়িয়ে দেন।
এদিকে কর্নেল মালিক এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, “সেই মিটিং একেবারে পেশাদারভাবে পরিচালিত হয়েছিল। সমস্ত আলোচনার ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। লভলিনা জাতির গর্ব, আমরা তাঁর সাফল্যে গর্বিত।”
এই ঘটনায় ক্রীড়ামন্ত্রকের নির্দেশে IOA একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে রয়েছেন TOPS-এর CEO নচ্ছতার সিং জোহাল, অলিম্পিয়ান শরথ কমল এবং একজন মহিলা আইনি বিশেষজ্ঞ। এই মুহূর্তে লভলিনা জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনে ব্যস্ত। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, “আমি তদন্ত কমিটির উপর পূর্ণ আস্থা রাখছি। রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করব না।”