সুদীপের আবেদনের পর সুনীল, শিশিরের সদস্যপদ খারিজের দাবি খতিয়ে দেখছেন ওম বিড়লা

তৃণমূল যে তাঁদের বিরুদ্ধে লোকসভার সদস্যপদ খারিজের দাবি করেছে, এই ব্যাপারে সুনীলকুমার মণ্ডল এবং শিশির অধিকারির কী বলার আছে, তা দেখে নিতে চাইছেন স্পিকার। তারপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

June 19, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সুনীলকুমার মণ্ডল (Sunil Kumar Mandal) এবং শিশির অধিকারির (Sisir Adhikari) সদস্যপদ খারিজের প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি পেয়েছি। দু’জনের সদস্যপদ খারিজের দাবি করা হয়েছে। সেই মতো আমি সংশ্লিষ্ট দুই এমপিকে চিঠি দিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানতে চেয়েছি। তৃণমূল যে তাঁদের বিরুদ্ধে লোকসভার সদস্যপদ খারিজের দাবি করেছে, এই ব্যাপারে সুনীলকুমার মণ্ডল এবং শিশির অধিকারির কী বলার আছে, তা দেখে নিতে চাইছেন স্পিকার। তারপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, নারদ স্ট্রিং অপারেশনে অভিযুক্ত তৃণমূলের চার এমপির বিরুদ্ধেও সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে সক্রিয় হয়েছেন লোকসভার স্পিকার। এই ব্যাপারে দু‌ই বিশেষজ্ঞর মতও নিয়েছেন তিনি। তবে উভয়ের মতের মিল হয়নি। তাই বিষয়টি আইনমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওম বিড়লা। তিনি বলেন, নারদ মামলায় তৃণমূল এমপিদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের অনুমোদন চাওয়ার বিষয়টি আগের লোকসভায় হয়েছে। পরে আমার কাছেও এসেছে। কিন্তু এখন দেশে লোকপাল গঠিত হয়েছে। তাই বিষয়টি লোকসভার স্পিকার নাকি, লোকপাল, কে দেখভাল করবেন, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। দুই বিশেষজ্ঞ দু’রকম মত দিয়েছেন। তাই আইন(মন্ত্রকের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের অবস্থান জানার পরেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। কোনও তাড়াহুড়ো নেই।

অন্যদিকে, নারদ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি আপাতত বন্ধ রাখার আবেদন আগামী মঙ্গলবার শুনবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার সর্বোচ্চ আদালতে এই ব্যাপারে মামলা করেছে। উভয়ের আবেদন, কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হোক। গত ৯ জুন কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে এসেছেন মলয় ঘটক। শুনানিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগামী মঙ্গলবার মামলা শোনা হবে, তাই আগামী সোম ও মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট যেন মামলা না শোনে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen