নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চালাক কেন্দ্র, দাবি বসু পরিবারের

গত আট মাসে সেই কমিটির বৈঠক একবারও ডাকা হয়নি।

September 15, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও কর্মকাণ্ডকে স্মরণ করতে চার কামরার বিশেষ ট্রেন গোটা দেশ পরিক্রমা করুক। এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতীয় রেলকে এই উদ্যোগ নিতে আর্জি জানাল সুভাষচন্দ্রের পরিবার। বসু পরিবারের মুখপাত্র তথা নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচন আন্দোলনের অন্যতম মুখ নেতাজির নাতি চন্দ্রকুমার বসু সম্প্রতি এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডিকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর মতে, আগামী ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবসকে সামনে রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বর্তমান প্রজন্মের সামনে সুভাষচন্দ্রের মহান কীর্তিকে এভাবে নিয়ে আসুক। 


নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য গত ২৩ জানুয়ারির আগে মোদী সরকার সমাজের বিশিষ্টদের নিয়ে একটি জাম্বো কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির মাথায় রয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু গত আট মাসে সেই কমিটির বৈঠক একবারও ডাকা হয়নি।

স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বসু পরিবারে। চন্দ্রবাবুরা কমিটিকে বারবার চিঠি লিখে এনিয়ে নানা প্রস্তাব দিলেও তার উত্তর দেয়নি কেন্দ্র। এবার আইএনএ দিবসের আগে এই নয়া প্রস্তাব পাঠিয়ে আরও একবার কেন্দ্রকে সচেতন করতে চেয়েছেন তাঁরা। চন্দ্রবাবুর প্রস্তাব, গান্ধীজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ভারতীয় রেল এমন বিশেষ ট্রেন চালিয়েছিল সারা দেশে। সেই ধাঁচেই কে নিয়ে এবার চার কামরার একটি ট্রেন-মিউজিয়াম চালানোর ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। সেই ট্রেনে ভিডিও হল সহ নেতাজি এবং আইএনএ’র বিভিন্ন ছবি ও সামগ্রী থাকতে পারে। রেলকে এবিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রক সাহায্য করতে পারে। তাঁর প্রস্তাব, ট্রেনটি দেশের বিভিন্ন শহরের অন্যতম স্টেশনগুলিতে বছরের বিভিন্ন দিনে গিয়ে পৌঁছক। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়াদের সেটি দেখানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পরিদর্শনের পর পড়ুয়াদের মধ্যে নেতাজী এবং তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা যেতে পারে। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম তিন স্থানাধিকারীকে রেল পুরস্কার হিসেবে এক বছরের জন্য সপরিবারে ট্রেন সফরের পাস দিতে পারে। এই ধরনের পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে নেতাজি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবহিত ও উৎসাহিত করা যাবে। আর সেটাই হবে ১২৫তম জন্মবর্ষে এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি যোগ্য সম্মান। আমাদের মনে রাখতে হবে, গান্ধীজিই কিন্তু সুভাষচন্দ্রকে দেশের ‘সেরার সেরা’ দেশপ্রেমিকের আখ্যা দিয়েছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen