পুরুলিয়া, রানাঘাটের স্বর্ণবিপণিতে ডাকাতির ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল জেলে?

পুরুলিয়া ও রানাঘাটের জোড়া সোনার দোকানে ডাকাতির মাথা একজন, এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে

September 10, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পুরুলিয়া ও রানাঘাটের জোড়া সোনার দোকানে ডাকাতির মাথা একজন, এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। জানা যাচ্ছে, জেলে বসে তৈরি হয়েছিল গোটা অপারেশনের নীল-নকশা। পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস বিপণিতে ডাকাতির ঘটনায় শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের সুদামডি এলাকা থেকে করণজিৎ সিং সিধু নামে দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত ২৯ আগস্ট পুরুলিয়া ও রানাঘাটে জোড়া ডাকাতির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড একজনই। ঝাড়খণ্ডের জেলে বসে সে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছিল।

ব্লু-প্রিন্ট অনুযায়ী ডাকাতির দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে। পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডাকাতির ঘটনায় সহযোগী এক ব্যক্তিকে দিল্লি শুরু আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার ডাকাতিতে সরাসরি যুক্ত এমন একজনকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে জেরা করে বাকিদের নাম জানা গিয়েছে। তবে সোনার গয়না উদ্ধার হয়নি।

করণজিৎকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী এলাকায় দুষ্কৃতীরা ঘাঁটি গেড়েছিল। সেখান থেকেই ন’দিন পুরুলিয়া শহরে এসে তারা রেকি চালায়। ডাকাতির পর দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারির দিকে চলে গিয়েছিল। সংশোধনাগারে বসেই ডাকাতির ছক কষেছিল মাস্টারমাইন্ড। সে এখনও জেলেই। মাস্টারমাইন্ডের ডান হাত ডাকাতির সময় হাজির ছিল। অপর একটি টিম ওই একই সময়ে রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতি করেছিল।

পুলিশি জেরায় ধৃত জানিয়েছে, রানাঘাট ও পুরুলিয়ার ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড একজন। দু’টি পৃথক টিমকে পুরুলিয়া ও রানাঘাটে ডাকাতির কাজে লাগানো হয়েছিল। এর আগেও এই দলটি একাধিক অপরাধ করেছে বলেই জানাচ্ছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার। তাঁর কথায়, এদের ক্রাইম প্যার্টান দেখে বোঝা যায়, এরা নিখুঁতভাবে কাজ করতে অভ্যস্ত। একটা সিন্ডিকেটের মতো এরা কাজ করে। গ্যাংয়ের বিভিন্ন জনের দায়িত্ব আলাদা আলাদা, অপারেশন সেরে এরা চম্পট দেয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen