জিএসটির জের, বাড়তে চলেছে সুইগি, জোমাটোর খাবারের দাম
দেশজুড়ে পেট্রোপণ্যের উপর একই হারে কর লাগু করা যায় কিনা তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা।

অনলাইনে খাবার অর্ডার করার অভ্যেস আছে? থেকে থেকেই অ্যাপ থেকে পছন্দমতো খাবার অর্ডার করার প্রবণতা এই করোনা কালে আরও বেড়েছে। যাঁরা এমনটা করেন, এবার তাঁদের জন্য সম্ভবত একটি দুঃসংবাদ অপেক্ষা করে রয়েছে। এবার থেকে সুইগি (Swiggy) ও জোমাটোর (Zomato) মতো অ্যাপ-নির্ভর ই-কমার্স অপারেটর বা ECOগুলির খাবার ডেলিভারি পরিষেবার সঙ্গেও যুক্ত হতে চলেছে জিএসটি (GST)। আগামী শুক্রবার জিএসটি কাউন্সিলের একটি বৈঠকেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে চলেছে।
কী প্রস্তাব দেবে কমিটি? তাদের প্রস্তাব, গ্রাহকের বাড়িতে খাবার ডেলিভারি এবং ক্লাউড কিচেন থেকে তা তোলা ইত্যাদি রেস্তরাঁ পরিষেবার মধ্যেই ধরতে হবে এবং প্রয়োজনীয় জিএসটি লাগু করতে হবে। আগামী শুক্রবার লখনউয়ে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। এর আগে ১২ জুন ওই বৈঠক হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা ভিডিও বৈঠকে কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে। এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে বৈঠক অনিয়মিত ছিল। এই পরিস্থিতিতে এবার নতুন বৈঠক হতে চলেছে শুক্রবার।
বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা। দেশজুড়ে পেট্রোপণ্যের উপর একই হারে কর লাগু করা যায় কিনা তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পেট্রোলিয়াম দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, দু’ জনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবার পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে পারে কেন্দ্র। কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার কথা বললেও এক্ষেত্রে বাধা হতে পারে জিএসটি কাউন্সিল। কারণ, জিএসটি কাউন্সিলে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরাও আছেন। পেট্রোপণ্যকে পণ্য ও পরিষেবা করের আওতায় আনতে চাইলে রাজ্যগুলি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।