হাওয়াই চটি ভালো লাগলে, তার দোকান দিন, ব্যবসা মন্দ হবে না! বিধানসভায় কার উদ্দেশ্যে বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

এই ঘটনার পরই কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLAs) মনোজ ওঁরাওকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

June 16, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:১৭: বেশ কয়েকটি সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার কথা আছে বিধানসভায়। আজ, সোমবার তা নিয়েই বসেছিল বিধানসভার বাদল অধিবেশন। প্রথমার্ধে হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। আর তখনই উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভার কক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাষণের সময়ই হট্টগোল শুরু করে বিজেপি বিধায়করা। এই আবহে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। আর এই ঘটনার পরই কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLAs) মনোজ ওঁরাওকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখা শুরু করলেই হই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। সেই ইস্যুতে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরকে উদ্দেশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বিধানসভায় পা রাখলেই ওদের আর কোনও প্রশ্ন থাকে না। বিতর্ক করার মতো যুক্তিও থাকে না। তাই এখন গায়ে পড়ে অপপ্রচার চালায় আর স্লোগান দেয়।”

মুখ্যমন্ত্রী কোনও নাম নেননি তবে তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার। মমতা বলেন, “আপনাদের হাফ মিনিস্টার আমাদের পাড়ায় গিয়ে এক পাঞ্জাবি অফিসারকে জুতো ছুঁড়ে মারেন। এটাই কি রাজনৈতিক শালীনতা?” এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “আমার বাড়িতে আপনি ঢোকার চেষ্টা করলে, আমরাও আপনার বাড়ির ঠিকানা জানি। বাড়াবাড়ি করলে জবাব পাবেন।”

বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “আপনারা তো গদ্দারদের আশ্রয় দেন। যারা দেশ বিক্রি করেছে, তাদের হাত শক্ত করেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। আর বড় বড় কথা বলছেন!” গুজরাত প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যেদিন গুজরাতে ঘটনাটা ঘটেছিল, আমরা রাজনৈতিক সৌজন্যের কারণে চুপ ছিলাম। কিন্তু সেই সৌজন্যের অপব্যবহার করবেন না। এত যদি হাওয়াই চটি ভালো লাগে, তা হলে হাওয়াই চটির দোকান দিন। ব্যবসা মন্দ হবে না!”

প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে বিজেপির তোলা প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার সব ফাইল কেন্দ্রের কাছে আছে। আমি চলে আসার পরও ওরা একটাও ফাইল ছাড়েনি। দেখেছে — কিছু পায়নি। আমি এক পয়সা বেতন নিই না। সার্কিট হাউজে থাকা-খাওয়ার খরচ নিজের পকেট থেকেই দিই।” এমনকী ব্যক্তিগত আক্রমণের বিষয় নিয়েও সুর চড়ান তিনি। মন্তব্য করেন, “আমার খাওয়াদাওয়া, পোশাক-আশাক, ওদের ঠিক করার অধিকার নেই। কে কী খাবে, পড়বে—তা নিয়ে মন্তব্য করার সাহস কোথা থেকে আসে?” সবশেষে হুঁশিয়ারি, “২০২৬ সালে আপনারা রাজনীতিতে শূন্য হয়ে যাবেন। মানুষ সব বুঝে গেছে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen