অন্তঃসত্ত্বা সাফুরা বন্দিই, সরব সোশ্যাল মিডিয়া

সেই থেকে তিহার জেলের ছোট্ট সেলে অন্য বন্দিদের সঙ্গে থাকছেন সাফুরা। সরকারি নির্দেশিকা যেখানে বলছে, গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, সেখানে নিশ্চিত সংক্রমণের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে সাফুরাকে!

June 7, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

কয়েক সপ্তাহ আগেই জানতে পেরেছিলেন, মা হতে চলেছেন তিনি। আনন্দে উচ্ছ্বসিত ছিলেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যার ছাত্রী। কিন্তু সেদিন দুপুরে আচমকা দরজায় টোকা। আগন্তুকের দল জানালো, দিল্লি পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাস-দমন শাখা থেকে আসছে তারা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদে তাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দলটি কার্যত তুলে নিয়ে গিয়েছিল বছর সাতাশের সাফুরা জারগারকে। সেদিনই, ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। মামলা হয় বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ আইনে (ইউএপিএ)। সেই থেকে তিহার জেলের ছোট্ট সেলে অন্য বন্দিদের সঙ্গে থাকছেন সাফুরা। সরকারি নির্দেশিকা যেখানে বলছে, গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, সেখানে নিশ্চিত সংক্রমণের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে সাফুরাকে!

সাফুরা জারগার

দিল্লির এই কলেজ পড়ুয়ার গ্রেপ্তার নিয়েই সোচ্চার সোশ্যাল মিডিয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছিল, তার পিছনে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়া বেশ কিছু কলেজ পড়ুয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, করোনা সংক্রান্ত লকডাউনের সুযোগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়া পড়ুয়াদের এভাবেই তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। দেওয়া হচ্ছে ইউএপিএ ধারা, যার ফলে জামিন পাওয়া মুশকিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশ যখন সাফুরার মুক্তির দাবিতে সরব, তখন দক্ষিণপন্থী কিছু সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়াতেই সাফুরার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। চলছে কুৎসা। কিন্তু তার পরও একটা প্রশ্নই উঠে আসছে, করোনা সংক্রমণে সারা দেশ যখন ত্রস্ত, তখন এক গর্ভবতী মহিলাকে এ ভাবে আটকে রাখা কতটা সঙ্গত?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen