মোদীর সফরের আগে জনসংযোগে ভাটা! পথসভায় হাতে গোনা শ্রোতা, বিপাকে বঙ্গ বিজেপি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩১: ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে এগোতে চাইছে বিজেপি (BJP)। সামনেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁর সফরের আগে সংগঠনকে চাঙা করতে রাজ্যজুড়ে পথসভা কর্মসূচি শুরু করেছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। সভার আয়োজন হলেও মিলছে না শ্রোতা। ফাঁকা পথসভার ছবি দেখে রীতিমতো কপালে ভাঁজ পড়েছে রাজ্য নেতৃত্বের।
দলীয় সূত্রে খবর, জনসংযোগ বাড়াতে এবং সংগঠনকে মজবুত করতে ‘শক্তিকেন্দ্র’ ভিত্তিক পথসভার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ৫-৬টি বুথ নিয়ে তৈরি একটি করে শক্তিকেন্দ্রে এই সভা হওয়ার কথা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যজুড়ে মোট ১৩ হাজার পথসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দেশ ছিল, স্থানীয় সব নেতাকে এই সভায় উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ছবি। হাতেগোনা কয়েকজন স্থানীয় দলীয় কর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষের উপস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে। লোক না থাকায় বহু জায়গায় তড়িঘড়ি সভা শেষ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় নেতারা।
রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই এই হতাশাজনক ছবি ধরা পড়লেও ব্যতিক্রম কিছু জেলা। পুরুলিয়া, হুগলি এবং জলপাইগুড়ির কয়েকটি জায়গায় কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে ৫-৬টি বুথ মিলিয়েও কেন সর্বস্তরের কর্মী-সমর্থকদের জড়ো করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। নীচুতলায় সংগঠনের এই নড়বড়ে দশা প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে রাজ্য নেতাদের চিন্তায় ফেলেছে।
কর্মসূচির শুরুতেই এমন ধাক্কা খেয়ে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে শীর্ষস্তর থেকে জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষক এবং বুথ সভাপতিদের কড়া নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, জেলা নেতৃত্বকে না জানিয়ে বা অন্ধকারে রেখে কোনও পথসভা করা যাবে না। সভার দিনক্ষণ আগেভাগে জেলা সভাপতিকে জানাতে হবে এবং এমন সময় সভা করতে হবে যাতে আশপাশের কর্মীরা সহজেই যোগ দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে নীচুতলার সংগঠনকে সক্রিয় করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ সুকান্ত-শুভেন্দুদের কাছে।