মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে পূর্ণমকুমার সাউয়ের ঘরে ফেরার দিন গুনছেন স্ত্রী রজনী

প্রায় কুড়ি দিন যাবৎ পাক রেঞ্জারদের হাতে বন্দি হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফের কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউ।

May 12, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রায় কুড়ি দিন যাবৎ পাক রেঞ্জারদের হাতে বন্দি হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফের কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউ। ইতিমধ্যেই তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। বাংলার শাসক দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের ডিজিকে ফোন করে পূর্ণমের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। নিয়মিত তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

জওয়ানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রজনী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণমকে ফেরানো হবে।

রবিবার রজনী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসবেন পূর্ণম। রজনীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন মমতা। পরিবারের পাশে থাকবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এতেই অনেকটা নিশ্চিন্ত বোধ করছেন পূর্ণমের স্ত্রী।

অন্যদিকে, আজ সোমবার বৈঠক রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের। বৈঠকে পূর্ণমের ফেরা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পূর্ণমকে ফেরাতে তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর। এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণমকে ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পূর্ণমের স্ত্রী ও বাবা-মায়ের যেকোনও রকম চিকিৎসার প্রয়োজন হলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল ফিরোজপুর বর্ডারে ডিউটি করার সময় পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। ভুলবশত পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ঢুকে গাছের তলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় সে দেশের রেঞ্জার্স পূর্ণমকে বন্দি করে। তাঁর স্ত্রী রজনী অন্তঃসত্ত্বা, বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও সাত বছরের সন্তান রয়েছে। এখনও ছাড়া পাননি তিনি। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকেও বসেছে বিএসএফ। এখনও সমাধানসূত্র মেলেনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen