৪ হাজার টাকার বড়া পাও খেয়ে মেটাননি বিল, অভিযোগ রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে

শুধু বিল নয়, আরও একটি বিষয় নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। রেলমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা থানে স্টেশনের বাইরে আসতেই প্রচুর ভিড় জমায়েত হয়ে যায় স্টেশনের বাইরে।

February 22, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী জিতেন্দ্র আওয়াদ অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কপিল পাতিল, রাওসাহেব দানবে ও অন্য মন্ত্রীরা থানেতে বড়া পাও খেয়ে টাকা না দিয়েই চলে গিয়েছেন।

শুক্রবার উলাসনগরে একটি অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী জিতেন্দ্র আওয়াদ বলেন, “যারা ফ্রি-তে বড়া পাও খায়, তাঁরা কী ভাবে একটা শহর চালাবেন?”

শুক্রবার ঠিক কী হয়েছিল?

আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দুটি নতুন রেল লাইনের পরিষেবা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব থানে থেকে দিভা স্টেশন পর্যন্ত আসেন লোকাল ট্রেনে করে। এই পরিদর্শনের সময়ে রাস্তার পাশেই তাঁরা বড়াপাও ও চা খান। এই সফরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবর সঙ্গে ছিলেন রাওসাহেব দানবে ও কপিল ত্রিপাঠীও।

একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বড়াপাও খেলেও সেই বিল মেটাননি মন্ত্রীরা। যখন ওই দোকানের এক কর্মী ঘটনাটি টুইটারে জানান, তখন গোটা ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসে, যা নিয়ে শোরগোলও পড়ে যায়।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রায় 200টি বড়াপাও খেয়েছেন মন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা। সেই মোট বড়াপাওয়ের দাম 3,950 টাকা। যদিও ঘটনার কথা ক্রমেই জানাজানি হতে, BJP কর্মীরা দ্রুত সেই দোকানে হাজির হয়ে বিল মিটিয়ে দেন।

শুধু বিল নয়, আরও একটি বিষয় নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। রেলমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা থানে স্টেশনের বাইরে আসতেই প্রচুর ভিড় জমায়েত হয়ে যায় স্টেশনের বাইরে। পরে যাত্রীরা এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে তাঁরা ট্রেন ধরতে পারেননি। এছাড়াও বেশ কয়েকজন দাবি করেন, তাঁরা নামতেও পর্যন্ত পারেননি।

উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেনকে মুম্বই শহরের লাইফ-লাইন বলা হয়। বর্তমানে কোভিডকালীন সময়েও দৈনিক 60 লাখ মানুষ মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে করে যাতায়াত করেন। করোনা আসার আগে এই সংখ্য়াটা ছিল প্রায় 75 লাখের কাছাকাছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen