আরজি কর মামলা: প্রতি পদে কোনও নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া আমাদের কাজ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্য জানিয়েছে, তারা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালগুলিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করেছে।

October 15, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে আজ মঙ্গলবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার জানায় আদালত নির্দেশিত ৯০-৯৮ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারি ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই কাজ হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, তারা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালগুলিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করেছে।

শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারেরা কি কাজে ফিরেছেন?’’ জবাবে জুনিয়র ডাক্তারের পক্ষের আইনজীবী জানান, সকলেই কাজে ফিরেছেন। তা মানল রাজ্যও। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘হ্যাঁ, সাত জন যাঁরা অনশন করছেন, তাঁরা বাদে সকলেই কাজে ফিরেছেন।’’

আরজি কর মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা পড়েছে শিয়ালদহ আদালতে। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্টে সেই চার্জশিটের কথা উল্লেখ রয়েছে। এমনকি, চার্জশিটের কপিও জমা দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালতে সিবিআই জানায়, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া আর কেউ এই ধর্ষণ-খুন মামলায় জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হাজির থাকা প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা তদারকিতে আদালত যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল, তাও গঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে হাসপাতালগুলির বিশ্রামস্থলে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা লাগু হয়ে যাবে। রাজ্য সরকারের হলফনামায় আরও বলা হয়, আর জি কর হাসপাতালের বকেয়া কাজ সম্পূর্ণ করা হবে এ মাসের মধ্যেই।

এর জবাবে ডাক্তারদের পক্ষে আইনজীবী করুণা নান্দী রাজ্যের বক্তব্য সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি সওয়ালে বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়ন যে মাপকাঠিতে হওয়া উচিত ছিল, তা কিছুই হয়নি। রাজ্য সরকার দাবি করলেও তেমন কিছু কাজ হয়নি।

রাজ্য আদালতে জানায়, ১২৩ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। ১৫১৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর উত্তরে আদালত বলে, যাই হোক রাজ্য সরকারের হলফনামাকে উপেক্ষা করতে পারে না বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রশিক্ষিতদের মধ্যে ৯১০ মহিলাও আছেন বলে রাজ্য জানিয়েছে। আদালত এও বলে আমরা রাজ্য সরকারকে সব ব্যাপারে নির্দেশ দিতে পারি না। এটা একটা বিশেষ ক্ষেত্র বলে রাজ্যকে বলা হয়েছিল। তবে প্রতি পদে কোনও নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া আমাদের কাজ নয়। যাই হোক বিষয়টি দেওয়ালির ছুটির পর আবার উঠবে। শুনানি আজকের মতো শেষ, জানান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen