প্রয়াত সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা
সারদা মঠ সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তাঁর পার্থিব দেহ দক্ষিণেশ্বরে সারদা মঠের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে। ভক্তরা সেখানেই তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। কাশীপুর শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

প্রয়াত সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রবীণতম সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা (Pravrajika Bhaktiprana)।প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। রবিবার রাত ১১টা ২৪ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে তাঁর প্রয়াণ হয়। তিনি কয়েকদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর পার্থিব দেহ রবিবার রাতেই রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালে।
সারদা মঠ সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তাঁর পার্থিব দেহ দক্ষিণেশ্বরে সারদা মঠের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হবে। ভক্তরা সেখানেই তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। কাশীপুর শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষা ছিলেন সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা। তিনি দীর্ঘদিন টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা ১৯২০ সালের অক্টোবরে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সন্যাস নেওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল কল্যাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। নার্সিং প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তিনি ১৯৫০ সালে টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগদেন করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি সন্ন্যাস নেওয়ার দীক্ষা গ্রহণ করেন। সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ অধ্যক্ষা পদে তিনি ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে ২ এপ্রিল তিনি সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা হিসেবে ভার নেন।