ভোটযুদ্ধে প্রাক্তন দম্পতির লড়াই, বিষ্ণুপুরে সুজাতা বনাম সৌমিত্র

বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনে সুজাতাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, ওই আসনে বিদায়ী সাংসদকে ফের টিকিট দিয়েছে বিজেপি।

March 13, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাংসারিক লড়াই, কোর্ট রুমে সওয়াল-জবাবের পর এবার বঙ্গে ভোটের লড়াইতে নামতে চলেছেন প্রাক্তন দম্পতি সুজাতা ও সৌমিত্র। বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনে সুজাতাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, ওই আসনে বিদায়ী সাংসদকে ফের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। কেমন হবে প্রাক্তনের সঙ্গে লড়াই? প্রার্থী হওয়ার পর সুজাতা বলেন, তাঁর নিজের সঙ্গেই তাঁর লড়াই। বিষ্ণুপুর লোকসভার মানুষের প্রতি ও তাঁর প্রতি, যে বঞ্চনা বিজেপি প্রার্থী করেছেন, তার জবাব এবারের লোকসভা নির্বাচনে হবে। দল ভরসা করে টিকিট দিয়েছে। এজন্য তিনি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রার্থী না হয়েও ২০১৯ শের লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুরে বিজেপির মুখ ছিলেন সুজাতা। প্রাক্তন স্বামী বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্রকে জিতিয়েও এনেছিলেন। এবার প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধেই স্ত্রীকে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে রবিবার, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে সুজাতা মণ্ডলের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। রাজনৈতিক পর্যাবেক্ষক মহলের মতে, বিষ্ণুপুর আসনে এবার লোকসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি ও চমকপ্রদ লড়াই হতে চলেছে। প্রাক্তন দম্পতির রাজনৈতিক লড়াইকে কেন্দ্র চর্চা শুরু হয়েছে।

২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে প্রথম বিধানসভায় পা রাখেন সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে সাংসদ হন। তৃণমূল ছেড়ে সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দেন। সাংসদ নির্বাচিত হন। উনিশের নির্বাচনের সময় বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা থাকার কারণে, সৌমিত্রর জেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তখন তাঁর হয়ে প্রচার করেন স্ত্রী সুজাতা। কার্যত স্বামীর জয় ছিনিয়ে আনেন তিনিই। অনেকেই মনে করেন বিষ্ণুপুর আসনে বিজেপি বা সৌমিত্রর জয় হয়নি, জয় হয়েছিল সুজাতার। কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে ইতি পড়ে। ২০২৩-এ বাঁকুড়া আদালতে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তার আগেই সুজাতা তৃণমূলে যোগ দিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগ থেকে প্রার্থী হন। পরাজিত হন কিন্তু দলের হয়ে কাজ করছিলেন। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়পুর থেকে জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। এখন তিনি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। বিষ্ণুপুরে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম জোর চর্চায় ছিল। ওই আসনে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নামই ঘোষণা করেছে দল। বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার শেষ হাসি কে হাসে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen