ছোট বয়সেই স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে

শিক্ষা মানব জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ। তাই বাচ্চাদের স্কুলে ভরতি করে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য মা-বাবারা সর্বদাই ব্যতিব্যস্ত।

January 17, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যেঃ hindustantimes

শিক্ষা মানব জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ। তাই বাচ্চাদের স্কুলে ভরতি করে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য মা-বাবারা সর্বদাই ব্যতিব্যস্ত।

ছোটবেলার একটি গান খুব মনে পড়ে – ‘স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী, আমরা কি আর বইতে পারি!’ আর সেই ভারী ব্যাগই এখন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে খুব অল্প বয়স থেকেই। বিশেষত একক পরিবারের চাকুরীজীবী বাবা – মায়েরা দিনের বেশীরভাগ অংশে ছেলেমেয়েদের দেখাশোনার জন্য তাদের বাচ্চাদের প্লে স্কুলে রাখতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশে ৪-৮ বছরের ৯০ শতাংশ শিশুই এখন স্কুলে যাচ্ছে। বয়স বাড়ার সঙ্গেই তাদের স্কুলে ভর্তির পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। চার বছরের ৯১.৩ শতাংশ স্কুলে যায়, আট বছরের ক্ষেত্রে তা বেড়ে ৯৯.৫%। পাঁচ বছরেই প্রাক-প্রাথমিক বা অঙ্গনওয়াড়িতে ৭০ শতাংশ পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু একই বয়সের সাড়ে ২১ শতাংশ বাচ্চা প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। আবার ছ’বছরে ৩২.৮% প্রাক-প্রাথমিকে, ৪৬.৪ শতাংশ প্রথম শ্রেণিতে, ১৮.৭ শতাংশ দ্বিতীয় বা উঁচু ক্লাসে পড়ছে।

শিক্ষার অধিকার আইন (আরটিই) মেনে প্রথম শ্রেণিতে ছ’বছরের শিশুদের ভর্তির কথা হলেও, দেশের অনেক রাজ্যেই পাঁচ বছরের বাচ্চাদের ভর্তি নেয়। প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে চার জনই হয় পাঁচ বছরের কম অথবা ছ’বছরের বেশি। তবে কম বয়সের তুলনায় বেশি বয়সের শিশুরা পড়াশোনায় ভালো।

পাঁচ বছরের কোনও শিশুই প্রথম শ্রেণির পাঠ্য পড়তে পারে না। বেসরকারি তুলনায় সরকারি স্কুলে কমবয়সিদের ভর্তির প্রবণতা বেশি। ২০১৯ সালে দেশের ২৪টি রাজ্যের ২৬টি জেলার ১৫১৪টি গ্রামে ৩৬,৯৩০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে এই সমীক্ষা হয়েছে। মঙ্গলবারই দিল্লিতে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen