কেউ পড়তেন ১৮ ঘন্টা, কেউ social media ত্যাগ করেছিলেন – মাধ্যমিকে সেরাদের সাতকাহন

আজ সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এবছর মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাঁকুড়ার অর্ণব ঘড়াই ও পূর্ব বর্ধমানের রৌনক মন্ডল। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।

June 3, 2022 | 3 min read
Published by: Drishti Bhongi

শুক্রবার প্রকাশিত হল ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। আজ সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল (Madhyamik Results 2022) ঘোষণা করা হয়। এবছর মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাঁকুড়ার অর্ণব ঘড়াই ও পূর্ব বর্ধমানের রৌনক মন্ডল। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।

পরীক্ষায় এই অভূতপূর্ব সাফল্যের secret কী? জানালেন কৃতীরাই:

রৌনক মণ্ডল

রৌনক মণ্ডল (প্রথম): এবছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের সিএমএস স্কুলের ছাত্র রৌনক মণ্ডল। সংবাদমাধ্যমকে রৌনক জানিয়েছে, মাধ্যমিকে যে প্রথম হব সেটা আশা করিনি। তবে জানতাম এক থেকে দশের মধ্যে থাকব।’’ রৌনক জানিয়েছে, সে দিনে গড়ে আট ঘণ্টা করে পড়ত। তবে রাত জেগে খুব একটা পড়েনি বলে সে জানিয়েছে। রৌনকের পছন্দের বিষয় জীবনবিজ্ঞান এবং অঙ্ক। সাত জন গৃহশিক্ষকের কাছে সে পড়ত। মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী রৌনক ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য নিট পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছে সে।

অর্ণব গড়াই

অর্ণব গড়াই (প্রথম): বিরাট কোহলির ভাক্ত বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের ছাত্র অর্ণব গড়াই মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে। মোবাইলের প্রতি তার কোনও আগ্রহ ছিল না বরং পাঠ্য বই পড়ার সময় বাদে বাকি সময় প্রচুর গল্পের বই পড়ত। অর্ণবের বাবা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তিনি জানিয়েছেন, ছোট থেকেই আর পাঁচজনের থেকে অনেকটা বেশি মেধাবী। অর্ণব যখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র, তখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল তাঁর দিদি। সেই সময় দিদিকে পড়াতো অর্ণব। ফলে সেই ছেলে যে মাধ্যমিকে এক থেকে দশের মধ্যে স্থান করে নেবে, সেই বিশ্বাস ছিল অভিভাবকদের। অর্ণবের ইচ্ছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করা। সে চিকিৎসক হতে চায়।

কৌশিকী সরকার

কৌশিকী সরকার (যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয়, মেয়েদের মধ্যে প্রথম): মালদার গাজোল আদর্শ বাণী বিদ্যালয়ের ছাত্রী কৌশিকী সরকার ৬৯২ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম। কৌশিকী দাবা খেলতে ভালবাসে। সে অলিম্পিকের ভক্ত। ক্রিকেটার মিতালি রাজ ও রোহিত শর্মা কৌশীকির পছন্দের দুই খেলোয়াড়। প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্র।

অনন্যা দাশগুপ্ত

অনন্যা দাশগুপ্ত (তৃতীয়): ৬৯১ নম্বর পেয়ে এবছর মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে আসানসোলের উমারানি গড়াই মহিলা কল্যাণ গার্লস হাই-স্কুলের ছাত্রী অনন্যা দাশগুপ্ত। শুক্রবার সকালে পরীক্ষার ফল ঘোষণা হওয়ার পর খুশির হাওয়া দাশগুপ্ত পরিবারে। অনন্যা জানিয়েছে, ‘‘খুব ভাল লাগছে। এ রকমভাবে পরের পরীক্ষাগুলতেও যেন ভাল রেজাল্ট করতে পারি।’’ অনন্যার বাবা শুভ্র দাশগুপ্ত পেশায় শিক্ষক। তিনি মেয়েকে পড়াতেন। মূলত অঙ্কটাই তিনি দেখাতেন। বাকি বিষয় গুলতে অনন্যাকে সাহায্য করত তার মা। নির্দিষ্ট সময় খাওয়া, খেলা এবং পড়াশোনা সব কিছুই করত অনন্যা। অনন্যা গল্পের বই পড়তে খুব ভালবাসে। সে ভাল ছবিও আঁকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen