কাননের Comeback! সাত বছর পর তৃণমূলে ফিরলেন শোভন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১৫:০০: প্রথমে তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাহাড়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন মহানগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। সঙ্গে তাঁর বান্ধবীও হাজির ছিলেন তারপরই প্রশাসনে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল কাননের। এবার তৃণমূলে ফিরলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আজ, সোমবার দুপুরে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে ফিরলেন শোভন। শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও জোড়াফুল পরিবারে সামিল হলেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কলকাতার মেয়র পদ এবং রাজ্যের মন্ত্রিসভা ছেড়েছিলেন শোভন। ২০২১ সালের আগে দিল্লি গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপিতে বেশি দিন টিকতে পারেননি শোভন। একুশের পর থেকে বারে বারে তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তৈরি হলেও প্রত্যাবর্তন হয়নি। অবশেষে তৃণমূলে ফিরলেন তিনি।
পুজোর আগে সেপ্টেম্বরে তৃণমূলের সর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছিল শোভন-বৈশাখীর। অক্টোবরে দুর্যোগ পীড়িত উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে মমতার সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল শোভনের। পরদিনই নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের (NKDA) চেয়ারম্যান হিসাবে শোভনকে নিযুক্ত করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। কেবল দলের ফেরার অপেক্ষা ছিল। আজ ষোলোকলা পূর্ণ হল।
প্রশাসনে শোভনের প্রত্যাবর্তনের পর বেহালায় তাঁর অনুগামীরা আনন্দে ফেটে পড়েছিলেন। বেহালা পশ্চিম বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় শোভনের ছবি সহ হোর্ডিং দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভও তৈরি হয় একাংশের মধ্যে। কারণ ওই কেন্দ্রের বিধায়ক শোভন-পত্নী রত্না। শোভন তৃণমূলে ফিরতেই আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন কি-না সে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরনো দলে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উত্তরীয় পরিয়ে শোভন-বৈশাখীকে তৃণমূলে স্বাগত জানান। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযজ্ঞে সামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন শোভন এবং বৈশাখী। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদনক্রমে তাঁদের ফেরানো হচ্ছে। শোভন বলেন, ‘‘আমার ধমনী, শিরা সবটাই তৃণমূলের। এটাই আমার নিজের ঘর, এটাই আমার সংসার। আমার কাজ হবে দলকে আরও শক্তিশালী করা।’’
শোভন এবং বৈশাখী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। সেই সময় দিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূল ভবন থেকে কালীঘাটে অভিষেকের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন শোভন এবং বৈশাখী।