তাজপুরে সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আদানিদের টেন্ডার বাতিল! কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

বাজেট পেশ করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তাজপুরে আদানিদের টেন্ডার কি বাতিল করা হয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর, “এর উত্তর সিএস অর্থাৎ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ দেবেন। এ বিষয়ে আমরা আইনি শলাপরামর্শ নিচ্ছি।”

February 13, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাজেট পেশ করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তাজপুরে আদানিদের টেন্ডার কি বাতিল করা হয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর, “এর উত্তর সিএস অর্থাৎ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ দেবেন। এ বিষয়ে আমরা আইনি শলাপরামর্শ নিচ্ছি।”

তাজপুর বন্দর গড়ার ক্ষেত্রে আদানিদের বেছে নিয়েছিল রাজ্য। রাজ্য মন্ত্রিসভা ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছিল। ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর সরকারি বিজয়া সম্মেলনীতে মুখ্যমন্ত্রী আদানি গোষ্ঠীর অন্যতম কর্ণধার করণ আদানির হাতে তা তুলেও দিয়েছিলেন। বন্দর তৈরিতে ১৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলেও ঠিক হয়। ২০২৩ সালে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল রাজ্য প্রশাসনে।

সে বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তাজপুরের বন্দরে আদানিদের লগ্নি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী তাজপুরের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, “আপনারা দরপত্রে অংশ নিতে পারেন।” তবে কি আদানি গোষ্ঠী ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দর প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছে?

বাংলার শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছিলেন, “তাজপুর বন্দর নির্মাণের প্রাথমিক আগ্রহপত্র দরপত্রে সর্বোচ্চ দর হাঁকা আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোন সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্র সরকারের চারটি মন্ত্রক; স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও জাহাজ মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র চাওয়া হয়। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শর্তযুক্ত নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিয়েছে। তার সঙ্গে কিছু পর্যবেক্ষণও জানিয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য সরকার ও আদানি গোষ্ঠী কাজ করছে, আলোচনা চালাচ্ছে। স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। কথাবার্তা চলছে।” কী সেই পর্যবেক্ষণ, তা বলা যাবে না বলেই জানিয়েছিলেন শশী। তিনি জানান, বিদেশ, প্রতিরক্ষা, জাহাজ, কেন্দ্রের এই তিনটি মন্ত্রকের ছাড়পত্র এসে গিয়েছে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পমহলের সামনে নতুন করে দরপত্রের কথা বলেছিলেন কেন? কোনও ব্যাখ্যা রাজ্যের মন্ত্রী দেননি। শশী বলেছিলেন, তিনি যা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফেই বলছেন। আদানি গোষ্ঠী এখনও তাজপুর বন্দর নির্মাণের প্রক্রিয়ায় যুক্ত তো? মন্ত্রী উত্তরে স্পষ্ট করে বলেন, “হ্যাঁ। আলোচনা চলছে।” আদানি গোষ্ঠী তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প থেকে বিদায় নিয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে অনেক দিন ধরেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যে জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen