মৌসুনি দ্বীপে স্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ করবে রাজ্য

আপাতত মাটি দিয়ে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তৈরি করা হবে। তারপর এর উপর কংক্রিট বাঁধ দেওয়া হবে। তবে তার জন্য প্রস্তাব অর্থদপ্তরের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতি কিলোমিটারে কত খরচ, সেটা জানানো হয়েছে।

December 20, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নামখানা ব্লকের মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াড়া এলাকায় ভেঙে যাওয়া প্রায় ২০০ মিটার নদী বাঁধ স্থায়ীভাবে তৈরি করা শুরু করল সেচদপ্তর। রবিবার সকালে জেসিবি ও শ্রমিক নিয়োগ করে জোরকদমে এই কাজ শুরু হয়। একের পর এক দুর্যোগে বাঁধের এই অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।

কোটাল কিংবা বর্ষায় বারবার এখান দিয়ে ঢুকেছে নোনা জল। ক্ষতি হয়েছে চাষবাস এবং পর্যটনে। স্থানীয়দের দাবি ছিল, এই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। সেই মতো ওই এলাকায় কাজ শুরু করল সেচদপ্তর। মৌসুনি দ্বীপের এই এলাকায় প্রতি দুর্যোগেই কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ও কোটাল বাসিন্দাদের বড়রকমের সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। বসতবাড়ি না থাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে তেমন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু বাকি দিকে লোকসান হয়েছে। যেখানে পর্যটকদের জন্য টেন্ট বা কটেজ তৈরি করা হয়, সেখানেও জল ঢুকে বিপত্তি হয়েছে। তাই এই এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, মৌসুনির বালিয়াড়া এলাকায় স্থায়ী কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরি করা হোক। যতদিন না তা হচ্ছে, ততদিন সমাধান মিলবে না। এমন দাবির মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন সেচদপ্তরের আধিকারিকরা। তারপর এদিন সকালে শুরু হয়ে যায় কাজ। সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, অনেকদিন ধরেই বাঁধের এই ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকছিল। বৃষ্টি এবং দুর্যোগের কারণে মেরামতির কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। এখন আবহাওয়া ভালো হতেই জোরকদমে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত মাটি দিয়ে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তৈরি করা হবে। তারপর এর উপর কংক্রিট বাঁধ দেওয়া হবে। তবে তার জন্য প্রস্তাব অর্থদপ্তরের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতি কিলোমিটারে কত খরচ, সেটা জানানো হয়েছে। এই কাজ মিটলে ওই বাঁধের কাছাকাছি একটি স্লুইস গেটও তৈরি করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen