কেন্দ্রের আশায় আর অপেক্ষা নয়, ইছামতী, যমুনা নদী ও পদ্মা খাল সংস্কারে উদোগী রাজ্য

রাজ্য সরকার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে কাজ শুরু করার ছাড়পত্র দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা পরিদর্শন সেরেছেন।

March 1, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দীর্ঘদিন ধরে ইছামতী নদী সংস্কারের কোনওরকম সদিচ্ছা দেখায়নি কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী না-থেকে নদী সংস্কারে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ইছামতী ছাড়াও যমুনা নদী ও পদ্মা খালে ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে কাজ শুরু করার ছাড়পত্র দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা পরিদর্শন সেরেছেন। জানা যাচ্ছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী। ইছামতী, যমুনা নদী ও পদ্মা খাল দিয়ে দুই মহকুমার নিকাশি জল যায়। ভারী বৃষ্টি হলে উপচে জল উঠে পড়ে। ভেসে যায় একের পর এক গ্রাম। দীর্ঘদিনের এই জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন নদী-খালের দু’পাড়ের মানুষ। সেচদপ্তরের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ইছামতীর বুকে অন্তত পাঁচ জায়গায় উঁচু ঢিবি ছিল। যেগুলির জেরে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল জলপ্রবাহ। সে’সব ঢিবি পরিষ্কার করা হয়েছে। সেচদপ্তর ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। সাময়িকভাবে কাজ করা হলেও স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পরিষদ ও প্রশাসন। জানা গিয়েছে, সেচদপ্তর ইছামতী খননের অনুমতি দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্বরূপনগর টিপি ঘাট থেকে বসিরহাটের সংগ্রামপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। কোনও স্বশাসিত সংস্থা এই কাজ করবে। পলি তোলার পর তারাই পলির কিছু অংশ বিক্রি করবে। সরকারকে তারা নিয়ম মেনে রাজস্ব দেবে। উত্তোলিত পলির বাকি অংশ প্রশাসনকে দেওয়া হবে। সেই পলিমাটি জেলা প্রশাসন বিক্রি করে এলাকা উন্নয়নের কাজে খরচ করবে।

কীভাবে খনন করা হবে, তার রুট ম্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। নদীগর্ভে কোথায় কেমন গভীরতা, তা পরিমাপ করা হয়েছে। স্থির হয়েছে, ইছামতীর জলস্তর থাকবে যমুনা ও পদ্মার নীচে। তাহলে নদী-খাল কানায় কানায় হলেও জনপদে ঢুকবে না। রাজ্য থেকে নদী খননের এনওসি পাওয়া গিয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen