চাষিদের ৩২৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য
গত বছরের খরিফ মরশুমে ১০৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন কৃষকরা।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানেই চাষের ক্ষতি। কৃষকদের সেই ক্ষতির হাত থেকে রেহাই দিতে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্পের সুবাদেই এবার গত রবি-বোরো মরশুমে ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ৩২৫ কোটি টাকা পাচ্ছেন প্রায় ১৯ লক্ষ কৃষক। রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি বিমা সংস্থা সূত্রে শনিবার জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। আগামী কাল, সোমবারের মধ্যেই বাকি টাকাও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
চলতি বছরের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর ধাক্কায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বোরো ধান, তৈলবীজ প্রভৃতি ফসলের ক্ষতি হয়। তার আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে লোকসানের মুখে পড়েন কৃষকরা। সম্প্রতি নবান্নে কৃষিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের রূপায়ণ নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানেই বিমা সংস্থাকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কৃষকদের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার আগে প্রিমিয়াম বাবদ বকেয়াও মিটিয়ে দেবে রাজ্য সরকার।
গত বছর রবি-বোরো মরশুমে ১২ ধরনের ফসল বাংলা শস্য বিমায় নথিভুক্ত ছিল। এর মধ্যে শুধু আলু ও আখে প্রিমিয়ামের স্বল্প অংশ কৃষকদের দিতে হয়েছে। বাকি সব ফসলে প্রিমিয়ামের পুরোটাই দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার খরিফ মরশুমের শুরুতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ৮০ হাজারের বেশি কৃষক। চলতি নভেম্বর মাসেই তাঁদের বিমার টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমা সংস্থা সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ৪০ কোটি টাকার বেশি। গত বছরের খরিফ মরশুমে ১০৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন কৃষকরা।