কলেজ খোলার দাবিতে আন্দোলনই সার, তলানিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার

গত ১৬ নভেম্বর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুলে গিয়েছে স্কুল-কলেজের দরজা। কিন্তু, স্কুল গুলোতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি কিছুটা সন্তোষজনক হলেও কলেজগুলোতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম। এমনই দাবি করছেন অধ্যক্ষরা।

November 25, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রায় কুড়ি মাস ধরে বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ। পঠন-পাঠন চালু করার দাবিতে সেই সময় আন্দোলনে নেমেছিল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তাদের বক্তব্য ছিল, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার ফলে পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের। সেই কারণে স্কুল কলেজ চালু করার জোর দাবি উঠেছিল রাজ্যে। গত ১৬ নভেম্বর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুলে গিয়েছে স্কুল-কলেজের দরজা। কিন্তু, স্কুল গুলোতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি কিছুটা সন্তোষজনক হলেও কলেজগুলোতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম। এমনই দাবি করছেন অধ্যক্ষরা।

বিভিন্ন কলেজ অধ্যক্ষদের দাবি, কলেজ খোলার প্রথমদিকে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু, আস্তে আস্তে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে পঞ্চম সেমেস্টারের পড়ুয়াদের মধ্যে সেই উপস্থিতির হার অনেকটাই কম। কলেজ অধ্যক্ষদের মতে, ভরতি হওয়ার পর প্রথম সেমেস্টারের পড়ুয়ারা এই প্রথম কলেজে আসার ফলে তাঁদের মধ্যে একটা উৎসাহ রয়েছে। তবে পঞ্চম সেমেস্টারের পড়ুয়ারা এর আগেও কলেজে আসায় তাদের মধ্যে সেই উৎসাহটা নেই। কারণ তাঁরা মনে করে যে কলেজে না আসলেও হবে। এক শিক্ষক জানাচ্ছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যতটা ভিড় হচ্ছে কলেজের ক্লাসরুমে ততটা ভিড় হচ্ছে না। কলেজ অধ্যক্ষদের মতে, করোনার আগে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। এখন তা কমে হয়েছে ৫০ শতাংশ মাত্র।

তবে শুধু পড়ুয়াদের মধ্যেই নয় উৎসাহ কমেছে কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের মধ্যেও। বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা জানাচ্ছেন কলেজ খোলার প্রথমদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ১০০ শতাংশ হাজির হয়েছিলেন। তবে ক্রমেই সেই সংখ্যাটা কমে যাচ্ছে। তাঁদের কলেজে আসার প্রবণতাও কমছে। অনেকেই সপ্তাহে দু’তিনদিন কলেজে এসে বাকি কয়েকদিন অনলাইনে ক্লাস পড়াতে ইচ্ছুক। অর্থাৎ এখনও বাড়ি থেকে কাজ করতে চাইছেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একাংশ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen