বিদ্বেষমূলক ভাষণের জন্য কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট

দু’দিন আগেই ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে এদেশে বিদ্বেষ ভাষণের প্রবণতা বৃদ্ধির কড়া সমালোচনা করেছেন স্বয়ং রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেস। এবার একই ইস্যুতে শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল মোদী সরকার।

October 22, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা-ভাষণ (Hate speech) এবং দেশ জুড়ে ঘটে চলা অপরাধের ঘটনার যাতে যথাযথ তদন্ত করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যকে সেই নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শাহিন আবদুল্লা নামে এক সাংবাদিক।

এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতিদের সাফ হুঁশিয়ারি, এধরনের ঘটনা বন্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। অন্যথায় দায়ের করা হবে আদালত অবমাননার মামলা। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও দিল্লি সরকারকে এব্যাপারে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে, প্রথম দু’টি রাজ্যে বিজেপিই ক্ষমতায়। আবার দিল্লি পুলিস অমিত শাহের (Amit Shah) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে কেন্দ্র। বেকায়দায় গেরুয়া শিবিরও।

দু’দিন আগেই ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে এদেশে বিদ্বেষ ভাষণের প্রবণতা বৃদ্ধির কড়া সমালোচনা করেছেন স্বয়ং রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেস। এবার একই ইস্যুতে শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল মোদী সরকার (Modi Govt)।

শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর আইনজীবী কপিল সিবল ঘৃণা-ভাষণ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ঘটনারও উল্লেখ করেন। টেনে আনেন পশ্চিম দিল্লির বিজেপি (BJP) সাংসদ প্রবেশ বর্মার কথা। সম্প্রতিই তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিমদের সম্পূর্ণ বয়কট ডাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জগৎগুরু যোগেশ্বর আচার্যের করা ‘গলা কেটে নেওয়া হোক’ মন্তব্যের প্রসঙ্গও ওঠে শুনানিতে। সিবলের ওই সওয়ালের পর বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘‘ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ঘৃণা-ভাষণের মতো ঘটনা অবিশ্বাস্য। তা আটকানোর দায়িত্ব আমাদেরই। আমরা যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তা হলে কর্তব্যে গাফিলতি হবে।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen