খাবার দাম কি সামান্য কমেছে, কি বলছে সমীক্ষা?

করোনার বাধানিষেধের ওঠার পর থেকে রেস্তোরাঁগুলিতে ভিড় জমতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাবারের দাম।

November 7, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: করোনার বাধানিষেধের ওঠার পর থেকে রেস্তোরাঁগুলিতে ভিড় জমতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাবারের দাম। মাসের পর মাস ধরে লাফিয়ে বেড়েছে খাবারের দাম। এবার কি কিছুটা স্বস্তি মিলতে চলেছে?

দেশের অন্যতম প্রধান ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল দাবি করেছে, সামান্য হলেও খাবার খরচে রেহাই পেয়েছেন সাধারণ মানুষ—তা তিনি আমিষভোজী হোন, বা নিরামিষাশী। ২০২২ সালের অক্টোবরের নিরিখে তো বটেই, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েও দামের যে আঁচ ছিল, তা থেকে সামান্য হলেও স্বস্তি মিলছে।

চলতি বছরেই আগে তাদেরি করা এক সমীক্ষায় উঠে এসেছিল মারাত্মক এক তথ্য। সেখানে দেখা গিয়েছিল, গত জুলাইয়ে নিরামিষ খাবারের থালির দাম বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। জুন মাসের থেকেই এক লাফে এই পরিমাণ দাম বড়েছে জুলাইয়ে। গত বছরের জুন-জুলাইয়ের সঙ্গে তুলনা করলে এই বৃদ্ধির পরিমাণ আরও বেশি। ফলে তা ভারতের বড় অংশের মানুষের পকেটে টান পড়ছিল মারাত্মক পরিমাণে।

এবার ক্রিসিল-এর হিসেব বলছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে যেখানে এক থালা আমিষ ভাতের জোগাড় করতে সাধারণ মানুষের খরচ হতো ৬২.৭০ টাকা, সেটা এখন ৫৮.৪০ টাকায় নেমেছে। একবছরে দাম হ্রাসের হার ৭ শতাংশ। যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের প্লেট পিছু খরচ গত বছর অক্টোবরে যেখানে ২৯ টাকা ছিল, তা এখন সামান্য কমে হয়েছে ২৭.৫০ টাকা। সংস্থাটির হিসেব, গত জুলাইয়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম এতটাই চড়া ছিল যে এক প্লেট আমিষ খাবারের দাম ৬৭.৭০ টাকায় পৌঁছেছিল। নিরামিষ খাবারের দাম ছিল প্লেট পিছু ছিল ৩৪ টাকা।

ভারতে বহু ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাদের যেমন রোজগারে সামঞ্জস্য নেই, তেমনই খাওয়াদাওয়ার প্রকৃতিও আলাদা আলাদা। সেসব বিষয়কে মাথায় রেখেই ভারতবাসীর গড়পড়তা খাই-খরচের হিসেব কষেছে ক্রিসিল। বাজারহাট করার পর বাড়ির হেঁশেলে রান্না-করা যে খাবার নিত্যদিন পাতে পরিবেশিত হয়, তারই গড় খরচের আঁচ পেতে চেয়েছে এই ক্রেডিট রেটিং সংস্থা।
বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে এখনও প্রায় কাঁদতে হলেও খাই-খরচে সামান্য লাগাম পরানো গিয়েছে বলে কেন দাবি করল ক্রিসিল? তাদের বক্তব্য, টোম্যাটোর দাম কম হওয়ায় নিরামিষ পদের খরচের ভার কমেছে। পাশাপাশি মুরগির দামেও মিলেছে সামান্য রেহাই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্যাসের খরচ। কেন্দ্রীয় সরকার রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার পিছু ২০০ টাকা কমানোয় সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। তবে পরিস্থিতি আরও একটু ভালো হতে পারত, এমনটাই দাবি করেছে ওই ক্রেডিট রেটিং সংস্থা। তাদের বক্তব্য, পেঁয়াজের দামের ক্রমবর্ধমান ঝাঁঝে সমস্যা অনেকটাই বেড়েছে। সেখানে লাগাম পরানো গেলে সাধারণ মানুষের মুখে আরও একটু হাসি ফুটতে পারত বইকি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen