রাষ্ট্রীয় মহোৎসবের জের! রাজবাড়ীতে নষ্ট কয়েক লক্ষ টাকার ফুলের বাগান

কোচবিহার রাজবাড়ি তে উৎসবকে কেন্দ্র করে একাধিকবার রাজবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

February 18, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রথম থেকে নানান বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক মহোৎসব কে।

কোচবিহার রাজবাড়ি তে উৎসবকে কেন্দ্র করে একাধিকবার রাজবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার রাতে মহোৎসবের দ্বিতীয় দিন উপস্থিত ছিলেন কৈলাস খের। উপচে পড়া ভিড় এবং অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনায় কার্যতঃ নষ্ট হয়ে গেল কোচবিহার রাজবাড়ির অতিপরিচিত ফুলের বাগান।

কোচবিহার (COOCHBEHAR) রাজবাড়ির গেট থেকে শুরু করে রাজবাড়ীর মূল ফটক পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে একসময় বিভিন্ন ফুলের বাগান হত।সেখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ফুল শোভা বারাত রাজবাড়ির। মূল ফটকের সামনে ছিল বিরাট গোলাপের বাগান।

শোনা যায় কোচবিহার রাজা মহারাজারা ফুল ভীষণ ভালবাসতেন তাই রাজ্য পর্যটন দফতর এবং বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল রাজবাড়ী প্রাঙ্গন।

সেই বাগান রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গোলাপের বাগান ছিল তার নিজের আঙ্গিকে, কিন্তু যা ভয় করেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন সেটাই হলো। মানুষের পায়ের চাপে সেই ফুলের বাগান নষ্ট হয়ে গেল।

সোমবার অনুষ্ঠান দেখতে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ পৌঁছেছিল রাজবাড়ীতে। পরিকাঠামোর ব্যবস্থাপনার অভাবে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি বিভিন্ন মহলের।

শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান হওয়া সত্বেও অনুষ্ঠান শেষে রাজবাড়ীতে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। স্লোগান উঠল নিশির প্রামাণিক জিন্দাবাদ। তাতেও কার্যত কোচবিহার বাঁশি কে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করছে তার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।

গ্রেটার নেতা অমল চন্দ্র দাস বলেন, কোচবিহারের ঐতিহ্য কৃষ্টি সংস্কৃতি এবং মহারাজার ভাবাবেগকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চূড়ান্ত অপমান এর শিকার হতে হয়েছে।

একদিকে রাজবাড়ী কে আটকে হয়েছে মঞ্চ, অন্যদিকে ফুলের বাগান সহ রাজবাড়ীর বিভিন্ন ঘরে চলছে অবাধ আনাগোনা, অনুষ্ঠান অন্য কোথাও করলেই মনে হয় ভাল হত।

যদিওবা এই বিষয়ে কোন রকম মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং কোচবিহারের সাংসদ অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা নিশিথ প্রামাণিক।

কোচবিহার বনদপ্তর এবং পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গেছে রাজবাড়ির এই ফুলের বাগান তৈরি করতে প্রতিবছর 18 থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা খরচা হয়। গোলাপ বাগান এর ক্ষেত্রে আলাদাভাবে 7 থেকে 10 লক্ষ টাকা খরচা হয়।

এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের ফুলের গাছ কেনা থেকে শুরু করে যারা রক্ষণাবেক্ষণ করেন তাদের মাসোয়ারা পর্যন্ত রয়েছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুলের গাছ নিয়ে আসা হত রাজবাড়ী সৌন্দর্যায়নে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen