সুখবর, এবার ফ্রিতে চশমা দেবে রাজ্য সরকার
প্রতিটি চশমার জন্য বরাদ্দ ২৭৫ টাকা থেকে সাড়ে তিনশো টাকা করা হয়েছে। গুণগত মান বজায় রেখে গোটা জেলায় সাড়ে তিনশো টাকায় চশমা সরবরাহ করা হবে

চোখের সমস্যায় এবার ১৮ বছর পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়া এবং চল্লিশোর্ধ্ব প্রত্যেককে বিনামূল্যে নির্দিষ্ট পাওয়ারের চশমা দেবে স্বাস্থ্যদপ্তর (Health Department)। এজন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে সমস্ত ব্লকে টেন্ডার ডাকা শুরু হয়েছে। আগেও বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হতো। কিন্তু, প্রতি চশমার দাম ছিল ২৭৫ টাকা। ওই টাকায় ঠিকমতো চশমা পাওয়া যেত না। সেই জন্য বিনামূল্যে চশমার প্রতি সেভাবে আগ্রহ ছিল না। সম্প্রতি টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি চশমার জন্য বরাদ্দ ২৭৫ টাকা থেকে সাড়ে তিনশো টাকা করা হয়েছে। গুণগত মান বজায় রেখে গোটা জেলায় সাড়ে তিনশো টাকায় চশমা সরবরাহ করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবন থেকে সাড়ে তিনশো টাকা খরচে চশমা দেওয়ার নির্দেশিকা এসেছে। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়া (Students) এবং চল্লিশোর্ধ্ব প্রত্যেকে এই সুবিধা পাবেন। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে চশমা দেওয়া হবে। সাড়ে তিনশো টাকার বেশি দামে চশমা কিনতে চাইলেও সরকারি সুবিধা মিলবে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে সাড়ে তিনশো টাকা সাবসিডি মিলবে। এর ফলে চোখের সমস্যায় ভোগা অনেকেই উপকৃত হবেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রতিটি ব্লকে চশমা সরবরাহ করার জন্য টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা সারা বছর ধরে অর্ডার অনুযায়ী চশমা সাপ্লাই দেবে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের চোখের দৃষ্টিশক্তি টেস্ট করা হয়। টেকনিশিয়ানরা ওই কাজ করেন। এছাড়াও চোখের সমস্যা হলে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে অভিভাবকরা সরকারি হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হন। এক্ষেত্রে ১৮ বছর পর্যন্ত যাদের চোখের সমস্যা থাকবে তাদের বিনামূল্যে চশমা (Spectacles) দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে চক্ষু পরীক্ষা করা হয়।
এধরনের ক্যাম্পে অনেকের চোখের সমস্যা ধরা পড়ে। সেক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মিনে ১৮ বছর পর্যন্ত এবং ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের চশমার প্রয়োজন হবে, তাঁদের ফ্রিতে সরবরাহ করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সম্প্রতি সুতাহাটা, কোলাঘাট, তমলুক সহ সিংহভাগ ব্লকে স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে চশমা সরবরাহ করার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। একটি চশমার দাম সাড়ে তিনশো টাকা। ওই দরের মধ্যে যে সংস্থা সবচেয়ে ভালো মানের চশমা সরবরাহ করবে তাদের বেছে নেওয়া হবে বলে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। আগে ২৭৫ টাকা মূল্যের চশমা দেওয়া হতো। গোটা বিষয়টি নিয়ে সেভাবে প্রচারও হতো না। তাই অনেকের কাছে বিষয়টি অজানা।
কিন্তু, এবার বিনামূল্যে চশমা সরবরাহ করার বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা হবে। সাধারণ মানুষজন যাতে সুবিধা পান, সেটা নিশ্চিত করা হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, স্বাস্থ্যভবন থেকে সাড়ে তিনশো টাকা মূল্যে চশমা সরবরাহ করার নির্দেশিকা এসেছে। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়া এবং চল্লিশোর্ধ্ব যাদের চোখের সমস্যা এবং চশমার প্রয়োজন তাঁদের ওই ফ্রিতে চশমা দেওয়া হবে। কেউ বেশি দরে চশমা কিনলে আমরা তাঁকে সাড়ে তিনশো টাকা সাবসিডি দিতে পারব।