বিদ্যুৎ সংযোগ পেল উত্তরের ‘নন্দীগ্রাম’, নাম পাল্টে হল মমতাময়ী নগর
শনিবার নন্দীগ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ দিল বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি।

গ্রামের নাম ছিল নন্দীগ্রাম। তবে এটা বহু চর্চিত মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম নয়। এটা শামুকতলা থানা এলাকার নন্দীগ্রাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে সেই নন্দীগ্রামের নাম শনিবার গ্রামের মানুষ পাল্টে রাখল ‘মমতাময়ী নগর’। আসলে দশকের পর দশক ধরে শামুকতলার নন্দীগ্রামের ঘরে ঘরে বিজলি বাতি ছিল না। গ্রামে ১০০টি পরিবার রয়েছে। অন্ধকারে ছিল গোটা নন্দীগ্রাম। শুক্রবার সেই নন্দীগ্রাম বিজলির আলোয় আলোকিত হয়ে উঠল। আগেই তার টানা হয়ে গিয়েছিল। শনিবার নন্দীগ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ দিল বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। বিদ্যুতের আলো পেয়ে এদিন সকাল থেকেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে গ্রামের মানুষ। তাই রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে তাঁরা গ্রামের নাম পাল্টে মমতাময়ী নগর রেখেছেন। এই উপলক্ষ্যে এদিন গ্রামে পুজোর মুখে একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন বাসিন্দারা।
গ্রামের নতুন নাম দিয়ে অনুষ্ঠানে পোস্টার ও ফ্লেক্সও লাগানো হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী, জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সহ গ্রামের বিশিষ্টরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, শামুকতলার ওই গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িতে অনেক আগেই বিদ্যুতের তার টানা হয়েছিল। কিন্তু আইনি জটিলতায় সংযোগ দেওয়া যায়নি। আইনি জটিলতা কাটিয়ে শুক্রবার শামুকতলার ওই গ্রামে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামের নাম পাল্টে এলাকার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর নামে করেছে। আমরা অভিভূত।
জেলা পরিষদের ক্ষুদ্রশিল্প ও বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ দেবজিৎ সরকার বলেন, আইনি জটিলতা কাটিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ হওয়ায় নন্দীগ্রামের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে গ্রামের নাম পাল্টে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় মুগ্ধ। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুলবাবু বলেন, কোন গ্রামের মানুষই যেন বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্যেই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।