শহর ও গ্রামীণ এলাকায় নদীপথে ফেরি সার্ভিসে গতি আনতে ২.৬২ কোটি ব্যয় করছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর
এইসব লঞ্চের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের বেশি। এখন কার্যত জোড়াতাপ্পি দিয়েই চলছে সেগুলি। এবার এর মধ্যে কয়েকটি আর ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য নয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এই মুহূর্তে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির হাতে ১৩টি লঞ্চ রয়েছে। এরমধ্যে ইস্পাতের লঞ্চ ন’টি ও কাঠের লঞ্চ রয়েছে চারটি। শহরাঞ্চলে হাওড়া থেকে বাগবাজার, আহিরিটোলা, বাবুঘাট, আর্মেনিয়াম ঘাট পর্যন্ত এবং গ্রামীণ এলাকায় নাজিরগঞ্জ, বাউড়িয়া, গাদিয়াড়ায় চলাচল করছে এই লঞ্চগুলি।
এইসব লঞ্চের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের বেশি। এখন কার্যত জোড়াতাপ্পি দিয়েই চলছে সেগুলি। এবার এর মধ্যে কয়েকটি আর ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বাকি লঞ্চগুলি মেরামতির জন্য পরিবহণ দপ্তরের কাছে আর্জি জানিয়েছিল হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে পরিবহণ দপ্তর সম্প্রতি লঞ্চ মেরামতির জন্য প্রায় ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।
হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি সূত্রে খবর, ওই টাকায় আটটি ইস্পাতের লঞ্চ নতুনভাবে সংস্কার করা হচ্ছে। নতুন রূপে সেজে উঠছে জল নন্দিনী, জল তরী, জল যান, জল জীবন, জল গতি, জল মুক্তি, জল পথ ও জল যাত্রা। চার মাসের মধ্যেই পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে লঞ্চগুলি।