ন্যায় সংহিতার বিপক্ষে বিরোধীদের যাবতীয় দাবিকে উড়িয়ে দিতে UGC-র ফতোয়া

কেন্দ্রের হাতে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বানানো প্রচার পুস্তিকা। সেটাকেই মেনে নিতে হবে প্রচারের ‘বেদ’ হিসেবে।

February 19, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ন্যায় সংহিতার বিপক্ষে বিরোধীদের যাবতীয় দাবিকে ‘মিথ’ বলে উড়িয়ে দিয়ে জারি হয়েছে ৫২ পাতার নির্দেশিকা ইউজিসির। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে প্রচার চলবে? কেন্দ্রের হাতে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বানানো প্রচার পুস্তিকা। সেটাকেই মেনে নিতে হবে প্রচারের ‘বেদ’ হিসেবে।

বিরোধীদের দাবি, নয়া বিধিতে ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করে ভারতকে পুলিস-রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন অমানবিক আইনকে নতুন মোড়কে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। যেমন, পুলিস হেফাজতের সময়সীমা ১৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। সেডিসনের পরিবর্তে এসেছে আরও কঠোর রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা। এই সব দাবি নস্যাৎ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। দেওয়া হয়েছে ব্যাখ্যাও। নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১০৬(২) ধারাটি যে এখনও কার্যকর হয়নি, তার প্রচার করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের বলতে হবে, এই ধারা বাতিল করা যায় কি না, সেই আলোচনাও অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের সঙ্গে চলছে।

রাষ্ট্রদ্রোহের বিধি আরও ‘ন্যায়সঙ্গত’ হয়েছে। ট্রাকে পিষে দেওয়ার মতো ঘটনায় চালকের ১০ বছরের সাজার সিদ্ধান্ত এখনও কার্যকর হয়নি। গণপিটুনিতে মৃত্যুর কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ হল ন্যায় সংহিতা। ভারতীয় দণ্ডবিধির নয়া রূপ। ইন্ডিয়াল পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর পরিবর্তে ডিসেম্বরে এর আবির্ভাব ঘটেছে।

ন্যায় সংহিতায় উদ্বেগের বিষয় অবশ্যই দেশদ্রোহিতার সংজ্ঞা বদল। বিরোধীরা এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদও চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ, সেডিসনের ১২৪এ ধারা ব্রিটিশ আমলের আইনের অনুসরণে তৈরি বলে সমালোচনা করা হয়েছে নির্দেশিকায়। সেখানে দেশদ্রোহের ১৫২ ধারাকে অনেক সুসংহত বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হয়েছে বেশি। তাতে যুক্ত হয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী ক্রিয়াকলাপের মতো বিষয়। সমাজতাত্ত্বিকরা বলছেন, নয়া আইন কেমন, তা জানতে হবে ঠিকই। কিন্তু এ ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদের মতামত তৈরি হওয়া উচিত বিভিন্ন উৎস থেকে পড়াশোনার মাধ্যমে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশনামা গিলিয়ে দেওয়া কখনওই সঠিক পদ্ধতি হতে পারে না।

যদিও ইউজিসি এ বিষয়ে অনড়। তারা নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলিকে ন্যায় সংহিতা এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার প্রচার চালাতেই হবে। তার জন্য বিভিন্ন স্ট্যান্ডে ফ্লায়ার লাগাতে হবে। আইনজীবী-বিচারকদের নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজনও করতে হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen