এই বছরেই রাজ্যের একাধিক পুরসভার ভোট করানোর ভাবনা নবান্নর

২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোট করিয়ে পুরসভাগুলির হাতে বছর খানেক সময় দেওয়া হলে তারাও কাজ করার সুযোগ পাবে।

July 27, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
এই বছরেই রাজ্যের একাধিক পুরসভার ভোট করানোর ভাবনা নবান্নর। গ্রাফিক্স: মোঃ রবিউল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের যে পুরসভাগুলির ভোট বকেয়া কিংবা প্রশাসকের মাধ্যমে পুরবোর্ড পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে চলতি বছরই ভোট করানোর ভাবনাচিন্তা করছে নবান্ন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মেয়াদ শেষ হয়েছে নদীয়া জেলার কুপার্স ক্যাম্প পুর বোর্ডের। বর্তমানে সেখানে এসডিও প্রশাসকের ভূমিকায় থেকে পুরসভা চালাচ্ছেন। আবার দুর্গাপুর কর্পোরেশনে মেয়রের চেয়ার দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা। পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তা চালাচ্ছে পাঁচজনের পুর প্রশাসক মণ্ডলী। আর হাওড়া পুরসভা তো রাজ্য-রাজভবন সংঘাত থেকে আইনি জটিলতায় জর্জরিত সেই ২০১৮ সাল থেকে। সব মিলিয়ে রাজ্যের ১৫টি পুরসভার হাল একইরকম।

সেগুলিতে এবছরই ভোট করিয়ে নেওয়ার ভাবনা ব্যক্ত করেছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। তবে এটাও উল্লেখ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও কোন সময় নির্বাচন হলে সকলের সুবিধা, সেটাই এখন প্রশাসনিক কর্তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সামনে পুজো। তাই অনেকের মত, কালীপুজো ও ভাইফোঁটার পরই ভোটের আদর্শ সময়। শাসকদল তৃণমূলের একটি বড় অংশ অবশ্য চাইছে, দ্রুত এই পুর নির্বাচন হোক। লোকসভা ভোটের সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতে পুরভোট হলে ফল ভালো হবে। তাতে এলাকাবাসীর কাছে নাগরিক পরিষেবা যেমন আরও ভালোভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে, তেমনই বিরোধীদের মুখও বন্ধ হবে। কারণ ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোট করিয়ে পুরসভাগুলির হাতে বছর খানেক সময় দেওয়া হলে তারাও কাজ করার সুযোগ পাবে। তাতে ফল মিলতে পারে হাতেনাতে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen