হুগলিতে পুজোর মণ্ডপসজ্জায় ছায়া ফেলছে প্রায় হাজার বছর আগের প্যাগোডা

সবমিলিয়ে দুর্গা ঠাকুরের ‘আপন দেশে’ থিমের অভিনবত্ব আর আকর্ষণ, পুজো মরশুমে চমকদার হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

September 13, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দুর্গাপুজো এবং থিম, কালের প্রবাহে সোনায় সোহাগার মতো মিশে গিয়েছে। গঙ্গাপাড়ের জনপদ হুগলিতেও থিমের অনবদ্য সব সম্ভার। তাতে জায়গা পেয়েছে দেবীর পুজোর আচার ও উপকরণ। আবার মিশে গিয়েছে দেশভক্তি বা দেশপ্রেম। থিমের বিপুল পরিসরে বাংলার একান্ত আপন পুজো টেনে আনছে বৌদ্ধ সংস্কৃতিকেও। এবছর মায়ানমার থেকে হুগলির মণ্ডপসজ্জায় ছায়া ফেলছে প্রায় হাজার বছর আগের প্যাগোডা। সবমিলিয়ে দুর্গা ঠাকুরের ‘আপন দেশে’ থিমের অভিনবত্ব আর আকর্ষণ, পুজো মরশুমে চমকদার হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

হুগলির বলাগড় শান্ত জনপদ। ভাঙন কবলিত ব্লকের মাটিতে এবার মাথা তুলছে ‘শ্বেজিগন প্যাগোডা’। বিরাট আয়তন ওই স্বর্ণ প্যাগোডা সাবেক বর্মা অধুনা মায়ানমারের অন্যতম দ্রষ্টব্য। আনুমানিক ১০৪৪ সালে তদানীন্তন বর্মা রাজ আনাওহোতার তত্ত্বাবধানে ওই প্যাগোডার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। লোকশ্রুতি, সেখানে ভগবান বুদ্ধের হাড় ও দাঁত রাখা আছে। বিপুল সেই প্যাগোডাতেই এবার দেবীকে দর্শকদের দর্শনের জন্য হাজির করতে চায় কালিয়াগড় পূর্বপাড়া সর্বজনীন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ১০০ ফুট চওড়া ও ৮০ ফুট লম্বা পরিসরে শ্বেজিগন প্যাগোডাকে ধরা হচ্ছে। তার স্বর্ণাভ চেহারা, বর্গাকার পাঁচ সোপানের অবয়ব অবিকল তুলে ধরার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন মণ্ডপ শিল্পীরা।

দেবীর পুজোর উপকরণ ঘট, চাঁদমালা, গামছা এমন অনেক কিছু। সে সবকেই থিমের চেহারা দিয়ে মণ্ডপ গড়ছে শ্রীরামপুরের মাহেশ বঙ্গলক্ষ্মী বাই লেন সর্বজনীন। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে নানা রকমের অবয়ব। পুজোর অনুসঙ্গকে নিবিড়ভাবে ফুটিয়ে তুলেই দর্শক সমাগমের প্রত্যাশা রাখছেন ক্লাব কর্তারা। সঙ্গে থাকছে আলোকসজ্জার বিশেষ পরিকল্পনা। পুজো মণ্ডপের কাছেই একটি পুকুর আছে। সেটিকেই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড এফেক্ট দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হবে। পুজো মণ্ডপের থিমেই সাজবে সেই আলোকসজ্জা। ক্লাব কর্তা পার্থ দাস বলেন, ‘আমাদের দেবী মৃণ্ময়ী। দেবীকে থিমের আদলেই সাজিয়ে তোলা হবে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen