মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় কাজে উৎসাহ বেড়েছে সাফাইকর্মীদর
হরিদেবপুরের নির্বাণ মুখোপাধ্যায়, অরুণ দাস, মানিকতলার অনুপ মণ্ডল, বেলগাছিয়ার বিজয় সিং বা ট্যাংরার মুন্নি শর্মাদের রুটিনটা মোটামুটি একই রকম। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর বা বিকেল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কেউ ঝাড়ু হাতে সাফাই করেন, কেউ বা জঞ্জাল সংগ্রহ করেন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে। করোনা সংক্রমণ রুখতে যাঁরা প্রতিদিন সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছেন নিজের জীবন বিপন্ন করে, ওঁরাও রয়েছেন তাঁদের মধ্যে। ওঁরা প্রত্যেকেই এখন খুব ব্যস্ত। একই সঙ্গে খুশিও।
হরিদেবপুরের নির্বাণ মুখোপাধ্যায়, অরুণ দাস, মানিকতলার অনুপ মণ্ডল, বেলগাছিয়ার বিজয় সিং বা ট্যাংরার মুন্নি শর্মাদের রুটিনটা মোটামুটি একই রকম। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর বা বিকেল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কেউ ঝাড়ু হাতে সাফাই করেন, কেউ বা জঞ্জাল সংগ্রহ করেন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে। করোনা সংক্রমণ রুখতে যাঁরা প্রতিদিন সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছেন নিজের জীবন বিপন্ন করে, ওঁরাও রয়েছেন তাঁদের মধ্যে। ওঁরা প্রত্যেকেই এখন খুব ব্যস্ত। একই সঙ্গে খুশিও।
ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশের সঙ্গেই করোনা-আবহে বাকি এই ফ্রন্টলাইনারদেরও ধন্যবাদ জ্ঞাপনে থালা-ঘণ্টা বাজানোর আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বার বার তাঁদের অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে মঙ্গলবার মাতৃস্নেহে নিজের হাতে ঝাড়ু ধরে দেখিয়েছেন, এই অবস্থায় কী ভাবে নিজেদের সুস্থ রেখে কাজ করবেন সাফাইকর্মীরা, তাতে তাঁদের উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ।

কালীঘাট এলাকার সাফাইকর্মী ভুলু ডোম বলেন, ‘আমরা কোনও দিন ভাবিনি মুখ্যমন্ত্রী এই ভাবে কাছে এসে আমাদের কাজে উৎসাহ দেবেন। এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া।’ আর এক সাফাইকর্মী বৈজু গিরির কথায়, ‘আমাদের কাজের সুনাম নেই। দিদি নিজে আমাদের কাছে এসে সেই সুনাম, সম্মান দিয়েছেন। তাই আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল। আরও ভালো করে কাজ করতে হবে আমাদের।’
কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে সাফাইকর্মীদের সুরক্ষার জন্য গ্লাভস, মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন কাজ সেরে পুরসভার স্থানীয় কার্যালয়ে গিয়ে পরিষ্কার হতে হয় নির্বাণ, অনুপ, অরুণদের। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিন শিফটে কাজ করতে হচ্ছে সাফাইকর্মীদের। অনেক সময় নির্ধারিত সময়ের থেকেও বেশি কাজ করতে হচ্ছে।