সংবাদমাধ্যমের ওপর বিজেপির বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় মৌন মিছিল করল তৃণমূল
বুধবার সংবাদমাধ্যমের অপর বিজেপির হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এতদিন তৃণমূল(TMC) নেতা নেত্রীদের ওপর হামলা চলছিল ত্রিপুরার (Tripura) মাটিতে। তবে এবার সংবাদমাধ্যমকেও ছাড়েনি বিজেপি(BJP) আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী। বুধবার ত্রিপুরায় সংবাদমাধ্যমের অফিসে বিজেপির ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ওইদিনই টুইটারে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার মাটিতে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে মৌন মিছিল করল তৃণমূল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এ দিনের মিছিলে সংবাদমাধ্যমের ওপর বিজেপির বর্বরোচিত হামলা ও স্বৈরাচারী আক্রমণের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক দিল তৃণমূল। পাশাপাশি মিছিল শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের সেই বিবৃতির পাশাপাশি এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “এভাবে কোন সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ করা যায়না। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের মান্যতা মানুষ সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছে। তারা তাদের কাজ করছে। সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। এটাই মানুষ চায়। ত্রিপুরা সরকার এর বিরুদ্ধে কেন? গতকাল যা হলো তা এক ধরনের প্রতিহিংসা। বিপক্ষে লিখলে সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ করার মতো কাজ ভারতের মানুষ মানবে না। বাংলার মানুষ কখনো বলতে পারবে না বাংলায় এমন হয়েছে। সরকারের প্ররোচনায় এই ধরনের হামলা হয়েছে এটা গণতন্ত্র হতে পারেনা। ভারতের সংবিধান বহুদলীয়তন্ত্রে বিশ্বাসী একনায়ক নয়। এই ধরনের হামলা মানা যায় না।”
পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়েননি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয় তিনি বলেন, “গতকালের ঘটনার পর দায়ের হওয়া এফআইআর-এ তিনজনের নাম রয়েছে অথচ কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এখনো পর্যন্ত। আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট সংবাদমাধ্যমের ওপর যে ধরনের আক্রমণ হলো তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আপনারাই সংবাদমাধ্যমে দেখিয়েছিলেন এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ২০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দুশো দিনের কাজ, চাকরিতে স্থায়ীকরণ, প্রতিবছর ৫০০০০ চাকরি। অথচ বাস্তবে দেখা গেল ১০ হাজারেরও বেশি জনের চাকরি এক কলমের খোঁচায় চলে গিয়েছে। অবাক হয়েছি ওরা বলছে এটা নাকি ট্রেলার। এখন ত্রিপুরার মানুষ বুঝুন পরিস্থিতি কী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার যাতে খর্ব না হয় তার জন্য তৃণমূল লড়াই করবে।”