‘অকৃতদার’ নেতার জন্য ফেসবুকে ‘পাত্রী চাই’-এর বিজ্ঞাপন

ওই পোস্টেই পাত্রের পরিচয় দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘পাত্র দালাল, জোচ্চোর, বেইমান, অকৃতজ্ঞ।

January 5, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘অকৃতদার’ দলত্যাগী নেতার জন্য ‘পাত্রী চাই’, বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হল ফেসবুকে। তৃণমূলের মুখপাত্র সুদীপ রাহা (Sudip Raha) সোমবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে কালোর ওপর বড় বড় হরফে লেখা ‘পাত্রী চাই’। ওই পোস্টেই পাত্রের পরিচয় দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘পাত্র দালাল, জোচ্চোর, বেইমান, অকৃতজ্ঞ। সারক্ষণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি অকৃতদার, আমি অকৃতদার বলে চিৎকার করে।’ কে এই ‘অকৃতদার’? কার জন্য এই পাত্রী চাইয়ের বিজ্ঞাপন? সুদীপের উত্তর যিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে সারাক্ষণ ‘অকৃতদার’, ‘অকৃতদার’ করে চিৎকার করছেন, তাঁর জন্যই পাত্রী খুঁজছি। আরও একধাপ এগিয়ে তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য, “রাজনৈতিক মঞ্চে কেন তাঁকে বার বার অকৃতদার থাকার কথা বলতে হচ্ছে? যখন সারা রাজ্যের মানুষ বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল হয়েছিল, বাস মালিকরা সমাধান চেয়েছিলেন, তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

এখানেই শেষ নয়, ‘অকৃতদার’ বলা নেতাকে বিঁধে সুদীপ বলেন, উঁনি ‘মেদিনীপুরের কুলাঙ্গার। সতীশ সামন্ত, মাতঙ্গিনী হাজরা, বিদ্যাসাগরের নাম তাঁর মুখে মানায় না’।

অতি সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পদ্ম পতাকা হাতে নিয়ে তিনি তোপ দেগেছিলে ‘তোলাবাজ ভাইপো’র বিরুদ্ধে। ইঙ্গিত স্পষ্ট রেখেও নাম না করে মেদিনীপুরের যোগদান সভা থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’। এরপর একের পর এক সভায় তিনি কখনও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিঁধেছেন ‘খিদিরপুরকে মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী’ বলে, কখনও আবার তাঁর বাক্যবাণের নিশানা হয়েছেন ‘তোলাবাজ ভাইপোর জ্যেঠু’ অধ্যাপক-সাংসদ সৌগত রায়’। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট আর দক্ষিণ কলকাতার নেতারাই সব দখল করে রেখেছে। জেলার লোকেরা ব্রাত্য। এই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর প্রত্যুত্তরে সুদীপের তীর্যক পোস্ট, “৯টা পেট্রোল পাম্প, কলকাতায় ৪টে ফ্ল্যাট, একসময়ে ৩৫টা পদের অধিকারী ছিলেন, এখন অবশ্য ন্যাকামি করে বলেন যে উঁনি নাকি বঞ্চিত।” ব্যঙ্গ করে যুবনেতা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘কোনও পাত্রী ইচ্ছুক হলে কল করুন ৪২০-৪২০-৪২০-৪ নম্বরে’।

তাহলে এই পাত্রী খোঁজা কি দলত্যাগী নেতার বিরুদ্ধেই? সুদীপের সাফ উত্তর, “আমি তো প্রত্যেক মিটিং-এই বলছি। আজ ঘাটালে বলেছি। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরে যাব, সেখানেও নাম করেই বলব”।

এদিকে, শুভেন্দু প্রত্যেক সভাতেই হুঙ্কার দিচ্ছেন অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৫টি আসনেই এবার পদ্ম ফুটবে। যার প্রত্যুত্তরে সুদীপের চ্যালেঞ্জ, “একটাও বিজেপি পাবে না। পূর্ব মেদিনীপুরের যে আসন থেকে তিনি দাঁড়াবেন, তিনি হারবেন। নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালেও হারবেন।”

তৃণমূল মুখপাত্রের এই পোস্টকে ‘রুচিহীন’ বলে পাল্টা ‘বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি’-র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দলত্যাগী বিধায়ক শিলভদ্র দত্ত (Silbhadra Dutta)। তাঁর কথায়, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে তুই-তুকারি করেন। একজন সর্বভারতীয় নেতার পদবী নিয়ে বিভিন্ন রকমের কথা বলছেন। এবার নিচু তলার কর্মীরাও তাই করছেন। তবে এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen