দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে তৃণমূল, আশাবাদী মন্ত্রী

২০২৩ সালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে সেখানকার মানুষ আমাদের ক্ষমতায় বসাবেন।

August 29, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৩ সালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে সেখানকার মানুষ আমাদের ক্ষমতায় বসাবেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হবে তৃণমূল কংগ্রেসেরই। ত্রিপুরা থেকে ফিরে আসানসোলের রাজনৈতিক মঞ্চে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক(Moloy Ghatak) আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একথা বলেন। বাংলার পরিবর্তনের সময়ের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিবেশের কোথায় কোথায় মিল রয়েছে তারও ব্যাখ্যা দেন ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই তৃণমূল নেতা।


শনিবার আসানসোল মহকুমার দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নব নির্বাচিত ব্লক সভাপতি সহ পদাধিকারীরা। সেখানে গোষ্ঠীবাজিতে রাশ টানার কথা জানান নেতারা। পুরভোটের প্রস্তুতির সুরও বেঁধে দেওয়া হয়। একইভাবে আইএনটিটিইউসির নাম করে কোনও চাঁদা নেওয়া যাবে না বলে সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়লাভের পরই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এবার অন্য রাজ্যেও লড়ব, জেতার জন্যই লড়ব। তা যে মুখের কথা ছিল না, তার প্রমাণ মিলছে ত্রিপুরায়। প্রতিদিন নিয়ম করে সেখানকার তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে এবং তৃণমূল কর্মীদের উপর মামলা দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনাই বলে দিচ্ছে, ত্রিপুরায় ঘাসফুল বাড়ছে। দলের নির্দেশে বারবার ত্রিপুরায় ছুটে গিয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। আইনমন্ত্রী সেখানকার কর্মীদের জামিন করানো সহ আক্রান্ত কর্মীদের পাশে থেকেছেন। দীর্ঘ সময় ত্রিপুয়ার কাটিয়ে আসানসোলের ফিরেই ভিন রাজ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা যায় মলয়বাবুর গলায়। মহকুমার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে মাইক হতে ত্রিপুরা নিয়ে মন্ত্রীর আশ্বাস শুনতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা যেন দ্বিতীয় বাংলা। বাংলার মতো সেখানেও দীর্ঘ বাম শাসনে মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে সেখানেও বামেদের মেলবন্ধন ছিল। তাই বিকল্প হিসেবে কাউকে না পেয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু, শেষ পাঁচ বছর বিজেপি যা অত্যাচার করেছে, তাতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সেখানকার মানুষ বিকল্প খুঁজছিল। বাংলায় যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপিকে রুখে দেওয়া গিয়েছে। তা দেখে ত্রিপুরাবাসী মনে করতে শুরু করেছে তৃণমূলই পারবে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে উৎখাত করতে। তাঁদের আহ্বানেই আমরা যেতেই বিজেপির ঘুম উবে গিয়েছে। তবে এদিনের সভাতেও কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের মুখে দলীয় দ্বন্দ্বের কথা সামনে এসেছে।

মন্ত্রী যেমন বলেন, ভোটের সময় যারা গদ্দারি করেছে, তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। আবার দলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটে কাউন্সিলারদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কিছু এলাকায় গিয়ে দেখতে পেয়েছি কাউন্সিলারদের প্রতি মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। এখনও কিছু প্রাক্তন কাউন্সিলার পুরসভা থেকে সাধারণ মানুষের জন্য‌ সামগ্রী নিয়ে নিজের বাড়িতে রেখে দিচ্ছেন। পুরসভার প্রশাসক চাইলে আমি প্রমাণ করতে পারি।আসানসোল পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কোথাও সমন্বয়ের অভাব হয়েছে। আমরা কোনও প্রাক্তন কাউন্সিলারের হাতে সাধারণ মানুষের সামগ্রী তুলে দিইনি। বিধায়ক ও জেলার নেতারা যদি আমাদের তালিকা করে জানান, কোন প্রাক্তন কাউন্সিলার দলের সঙ্গে বেইমানি করছে, তাহলে আরও ভালোভাবে আমরা পুরসভা চালাতে পারব। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen