পুর উন্নয়নের কাজ শেষ করতে দু’মাসে ১৫০ কোটি রাজ্যের

পরিবর্তনের জমানায় উন্নয়নের দিশা বদলেছে পুরদপ্তর।

December 28, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি : ফাইল চিত্র

পুরসভাগুলির আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে বিরোধী এবং ‘দলবদলুদের’ অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। রীতিমতো খতিয়ান দিয়ে প্রমাণ করল রাজ্য সরকার(Govt Of West Bengal)। সম্প্রতি বিভিন্ন দল থেকে বিজেপি(BJP) শিবিরে যোগ দেওয়া নেতারা ধুয়ো তুলেছেন, পুরসভাগুলিকে টাকা দেয় না নবান্ন(Nabanna)। কেবল কলকাতা(Kolkata) এবং আশপাশের কিছু কর্পোরেশনের নাগরিক পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখতেই তারা তৎপর। কিন্তু সেই দাবিকে পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আর্থিক খতিয়ান। শুধুমাত্র গত নভেম্বর ও চলতি ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের পুরসভা এবং উন্নয়ন পর্ষদগুলির জন্য ১৫০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ছাড়া হয়েছে। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী তা বণ্টন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, ধুপগুড়ি থেকে ডায়মন্ডহারবার, গঙ্গাসাগর-বকখালি—তালিকায় রয়েছে সব পুরসভা-উন্নয়ন পর্ষদ।
রবিবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা অর্থ বরাদ্দের সুনির্দিষ্ট একটি নীতি তৈরি করেছি। প্রথমত, প্রয়োজন অনুসারে টাকা ছাড়া হয়। অর্থাৎ জল, আলো, রাস্তা, জঞ্জাল সাফাই সহ মৌলিক নাগরিক পরিষেবাগুলি সুনিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সেই মতো বছরের শুরুতেই প্রকল্প ধরে ধরে অর্থ বরাদ্দের প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যের সব পুরসভা এবং কর্পোরেশনকে সমান গুরুত্ব পায়। দ্বিতীয়ত, পুর এলাকার মোট বাসিন্দার সংখ্যার উপর নির্ভর করে আর্থিক বরাদ্দ।’ এব্যাপারে উদাহরণ দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ছোট পুরসভার তুলনায় কলকাতা কিংবা হাওড়ার জনসংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট পুর নিগমগুলির বরাদ্দ একটু বেশি হবে। তবে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে তোলা অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক পুর প্রধানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলির সার্বিক উন্নয়নে সবরকমভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করি।’
দপ্তরের কর্তাদের একাংশেরও দাবি, কলকাতা কিংবা আশপাশের পুর নিগমগুলিকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বাস্তবটা হল, কলকাতা পুর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা রাজ্যের বাকি ১২৪টি পুরসভার সমান। অর্থাৎ, ১২৪টি পুরসভা বছরে যা টাকা পায়, তার অর্ধেক মহানগরের পুর-কোষাগারে আসা উচিত। কিন্তু তা হয় না। চলতি অর্থবর্ষে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসেবে ৬ হাজার কোটিই প্রাপ্য কলকাতা কর্পোরেশনের। কিন্তু আদতে আসে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। পরিবর্তনের জমানায় উন্নয়নের দিশা বদলেছে পুরদপ্তর। নবগঠিত একাধিক উন্নয়ন পর্ষদকেও পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর টাকা দিয়েছে সরকার। উদাহরণ হিসেবে এক পুরকর্তা জানিয়েছেন, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদকে বছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়। অথচ সম্প্রতি রাজনৈতিক মোড়ক বদলে নেতারা ভিন্ন সুরে অভিযোগ তুলছেন। যা অনভিপ্রেত, দাবি ওই পুর কর্তার।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen