আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান: জারি বিজ্ঞপ্তি, কী কী নির্দেশ গেল জেলাশাসকদের কাছে?

সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শিবির চালুর আগে স্থানীয়ভাবে প্রচার করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণে উৎসাহিত হন।

July 27, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩.৩৫: বিগত মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ নামে এক নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির বাস্তবায়নে জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। বিস্তারিত নির্দেশও দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কর্মসূচির বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে নবান্ন।

২ আগস্ট ২০২৫ থেকে ৩ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে এই নয়া কর্মসূচির শিবির। ১৫ নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে সমস্ত আবেদনের প্রশাসনিক মূল্যায়ন এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কোন কোন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, তা নির্ধারণ করে ফেলতে হবে। ২০২৬-র ১৫ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, ক্যাম্প ও পরবর্তী কাজের অগ্রগতি দেখরেখের জন্য বিশেষ মনিটরিং কমিটি গঠনের কথাও ভাবা হচ্ছে।

প্রতিটি ক্যাম্পে বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যেন স্থানীয় প্রতিনিধিরাও থাকেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শিবির চালুর আগে স্থানীয়ভাবে প্রচার করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণে উৎসাহিত হন। প্রতিটি ক্যাম্প থেকে জমা পড়া সমস্যার তালিকা ও সমাধানের অগ্রগতি নিয়মিত রাজ্য সদর দপ্তরে পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কাজের গতিপ্রকৃতি ঠিক করা হবে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের মোট ৮০ হাজার বুথকে ভিত্তি করে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ ক্যাম্প গঠিত হবে। তিনটি বুথ নিয়ে তৈরি হবে একটি ক্যাম্প বা শিবির। সরকারি আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে সরাসরি আলোচনায় বসবেন শিবিরগুলোয়। শিবিরের মাধ্যমে প্রথমে এলাকাবাসীদের সমস্যার কথা শোনা হবে। আলোচনা শেষে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি আধিকারিকেরা সংশ্লিষ্ট বুথে গিয়ে সমস্যা খতিয়ে দেখবেন। কোন কাজটি অগ্রাধিকার পাবে, কী উপায়ে তা বাস্তবায়িত হবে। সে বিষয়ে ফের শিবিরে ফিরে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকেরা।

প্রত্যেক বুথের জন্য রাজ্য সরকার ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। মোট ব্যয় হবে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। এই কর্মসূচির আওতায় রাস্তা নির্মাণ, নলকূপ বসানো, গ্রামীণ সেতুর মেরামতি, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন, পানীয় জলের কল বসানো-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হবে। মূলত স্থানীয়স্তরের দৈনন্দিন সমস্যা দ্রুত সমাধানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। নাগরিকদের দৈনন্দিন সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং তৃণমূলস্তরে প্রশাসনকে পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen