হেলিকপ্টার চড়ার শখ পূরণ করতে পর্যটকদের মধ্যে বাগডোর থেকে গ্যাংটক যাওয়ার আগ্রহ তুঙ্গে
সম্প্রতি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং এই পরিষেবার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছেন। তাই সাধ্যের মধ্যে শখপূরণ করতে চাইলে একবার আসতেই হবে উত্তরবঙ্গে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাগডোর থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত যে নতুন হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হয়েছে তা পর্যটকদের হেলিকপ্টার চড়ার শখ পূরণ করবে বলে মনে করছেন অনেকে। এই নতুন হেলিকপ্টারে থাকবে ২৭টি আসন। যার মধ্যে ২৫টি সাধারণ যাত্রীদের জন্য এবং ২টি ভিআইপি যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। এই নয়া হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু করা হয়েছে পুজোর আগে থেকেই। সম্প্রতি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং এই পরিষেবার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছেন। তাই সাধ্যের মধ্যে শখপূরণ করতে চাইলে একবার আসতেই হবে উত্তরবঙ্গে।

সাধারণত যেসব পর্যটকরা গ্যাংটক এ যান তারা শিলিগুড়ি থেকে প্রধান রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যবহার করে থাকেন। যে কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ককে শিলিগুড়ি ও সিকিমের লাইফলাইনও বলা হয়। কিন্তু পাহাড়ে ধস নামার কথা নতুন কিছু নয়, খবরের কাগজের পাতা উল্টালেই এরকম খবর হামেশাই চোখে পড়ে। ধসের কারণে জাতীয় সড়ক মাঝেমাঝেই বন্ধ হয়ে থাকে যার ফলে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে। ধসের কারণে অনেক সময় পর্যটকরা ট্রেন বা বিমান কিছুই ধরতে পারে না। তাই পাহাড়ের পর্যটকদের জন্য এই নতুন হেলিকপ্টার পরিষেবা একাধিক সমস্যার সমাধান ঘটাবে।

বাগডোর-গ্যাংটক রুটে নয়া হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু হবার ফলে মাত্র ৩৫ মিনিট সময় লাগবে বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক পৌঁছানোর জন্য। হেলিকপ্টারটি ছাড়া হবে গ্যাংটকের বুরতুক হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে। এখানে যাত্রী এবং লাগেজের ওজন করা হবে। যাত্রী পিছু ১০ কেজি ওজনের বেশি লাগেজ নেওয়া যাবে না এবং নিতে গেলে দিতে হবে অতিরিক্ত চার্জ। এর টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে নিজের পরিচয়পত্র অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। গ্যাংটক থেকে বাগডোগরা যেতে খরচ হবে মাথাপিছু ৪৫০০টাকা। যদি কোন পর্যটক গ্যাংটক এ জয় রাইড করতে চায় অর্থাৎ গ্যাংটকের বিভিন্ন জায়গা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ঘুরে দেখতে চায় তাহলে দিতে হবে ৩০০০ টাকা। এর জন্য সময় লাগবে কুড়ি মিনিট।