দ্বন্দ্ব ভুলে উত্তরবঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজের বার্তা অভিষেকের

বৈঠকে অবশ্য দ্বন্দ্ব ভুলে নব্য এবং প্রবীণদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক।

January 7, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

জলপাইগুড়িতে দলীয় বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সামনেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন একাধিক নেতা। যার রেশ রইল বৈঠকের পর, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময়েও। বৈঠকে অবশ্য দ্বন্দ্ব ভুলে নব্য এবং প্রবীণদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক।

বুধবার ছিল অভিষেকের উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিন। এ দিন ময়নাগুড়িতে জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিয়ে চালসায় দলীয় বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সেখানে ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল (Trinamool) সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী, জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু-সহ অনেকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে কৃষ্ণকুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান অনেকেই। চার দেওয়ালের ভিতরে আবহাওয়া যে উত্তপ্ত ছিল তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে বৈঠক শেষে। কৃষ্ণকুমারের সঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সম্পর্ক যে ‘আদায় কাঁচকলায়’ তা জেলায় সুবিদিত। সেই মোহনের কাঁধে দলের ‘বাড়তি দায়িত্ব’ তুলে দিয়েছেন অভিষেক।

বুধবার বৈঠক থেকে বেরিয়ে কৃষ্ণকুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুরে মোহন বলেন, ‘‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দেব। কিন্তু সভাপতির ডাকে নয়। আমি আমার মতো চলব। আজকের বৈঠকে দলের মঙ্গলই হল। যা আলোচনা হয়েছে তাতে দলের মঙ্গল হবে। আমাকে অভিষেক বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত জেলা কমিটির মিটিং হয়নি সে বিষয়টিও আমি তাঁকে জানিয়েছি। দলের সবাইকে নিয়ে কাজ করার কথা বলেছে অভিষেক। পুরসভার বিভিন্ন বিষয়ও অভিষেককে জানিয়েছি।’’

বৈঠকে ছিলেন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ। কৌশলে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করার দাবি ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজেশ বলেন, ‘‘ উনি (অভিষেক) জানালেন কলকাতা গিয়ে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে বলবেন। আমরা আশাবাদী ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করা হবে।’’

তৃণমূলের জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার সহ-সভাপতি শশাঙ্ক রায় বসুনিয়া সখেদে জানিয়েছেন, ‘‘বাড়ির পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলেন অথচ জেলা সহ সভাপতি হয়ে আমি বৈঠকে ডাক পাইনি। অথচ আমার ছেলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং আমার স্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। শেষে কলকাতা থেকে ফোন আসার পর বৈঠকে এলাম।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen