বেকারত্ব লাঘব নয়, মোদীর ছবি টাঙানোই অর্থমন্ত্রীর Priority
২ সেপ্টেম্বর বিরকুড়ের এক ফেয়ার প্রাইস শপের সামনে দাঁড়িয়ে সেখানকার জেলাশাসক জিতেশ ভি পাতিলকে অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি কোথায়?
দেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ কর্মহীন, দেশের যুবকদের হাতে কাজ নেই, লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল আমজনতা কিন্তু তাতেও বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন দেশের অর্থমন্ত্রী। কারণ দেশবাসীকে আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া নয়, অর্থমন্ত্রীর কাজ হল প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রচার ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা তত্ত্বাবধান করা। শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও এটাই সত্য।
মানুষের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া নয়, জরুরি হল মোদী তথা বিজেপির বিজ্ঞাপন (Advertisements)। মোদী আমলে বিজ্ঞাপন সর্বস্বভাবেই চলছে দেশের সরকার। রেশন দোকানে মোদীর ছবি নেই, তাই অর্থমন্ত্রীর ধমক খেলেন জেলাশাসক। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায়। তেলেঙ্গানা (Telangana) সফরে কামারেড্ডি জেলার বিরকুড় গ্রামে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। ২ সেপ্টেম্বর বিরকুড়ের এক ফেয়ার প্রাইস শপের সামনে দাঁড়িয়ে সেখানকার জেলাশাসক জিতেশ ভি পাতিলকে অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি কোথায়?
অর্থমন্ত্রীর দাবি, মোদীর ছবি রেশন দোকানে রয়েছে কি না, তা যাচাই করার অধিকার মোদী সরকারের রয়েছে। কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী দাবি করছেন, মোদী সরকার বিনামূল্যে চাল-গম দিচ্ছে আর রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রীর ছবিই নেই! কেন এমন হল? মোদী সরকার যে রেশন দিচ্ছে মানুষ তা বুঝবে কীভাবে? জনসমক্ষে জেলাশাসককে তিরস্কার করে জবাবদিহি চাইলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
প্রকাশ্যে অর্থমন্ত্রীর এমন আচরণে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। অর্থমন্ত্রীর এহেন ব্যবহারকে হাস্যকর এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। পাশাপাশি অন্য রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে, অর্থমন্ত্রীকে দেশের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি করার নিদান দিচ্ছেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে আরও একটি জিনিস স্পষ্ট হল, বিজেপির কাছে অগ্রাধিকার পায় প্রচারের রাজনীতি। আচ্ছে দিন আনতে তারা আগ্রহী নয়, বরং আচ্ছে দিন আসবে বলে প্রচার চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই মোদী সরকার বেশি উৎসাহী।