আনলক ৩ গতিবিধি নির্ধারণে রাজ্যের মত চাইল কেন্দ্র

একটি প্রস্তাব হল, শুধুমাত্র ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সিদের সিনেমা, মাল্টিপ্লেক্স ও অডিটরিয়ামে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

July 21, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

এবার লক্ষ্য আনলক থ্রি। আর সেই সূত্রে প্রতিটি রাজ্যের থেকে ফিডব্যাক ও স্টেটাস রিপোর্ট নিতে শুরু করে দিল কেন্দ্র। ইতিমধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, আগস্ট মাসে স্কুল, কলেজ চালু হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে রাজ্যগুলি কী ভাবছে। একইভাবে আগস্ট থেকে আনলক থ্রি প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ, সিঙ্গল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা, মেট্রো রেল ও লোকাল ট্রেন, জিমনাশিয়াম এবং সুইমিং পুল নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে জিম এবং সুইমিং পুল চালু করা নিয়ে এখনও রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে আপত্তি রয়েছে। কেন্দ্র চাইছে যথাসম্ভব কন্টেইনমেন্ট জোনে কড়াকড়ি বজায় রেখে এবার অন্তত আনলক থ্রি প্রক্রিয়ায় আরও স্বাভাকিতায় ফিরে যেতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি সাতটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ‌এরপর অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গেও কথা বলবেন। পাশাপাশি রাজ্যগুলিও স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে অভিমত এবং রাজ্যের সামগ্রিক গতিপ্রকৃতি জানিয়ে স্টেটাস রিপোর্ট পাঠাতে পারে। মাল্টিল্পেক্স, সিনেমা হল, অডিটরিয়াম ইত্যাদি চালুর বিষয়ে সরকার বয়সের একটি সীমাবদ্ধতা রাখতে উদ্যোগী । একটি প্রস্তাব হল, শুধুমাত্র ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সিদের সিনেমা, মাল্টিপ্লেক্স ও অডিটরিয়ামে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে ক্রমেই লকডাউনের প্রক্রিয়াকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির মধ্যে নিয়ে আসতে বলছে কেন্দ্র। হরিয়ানা, ওড়িশা আগেই করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিন লকডাউন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ লক্ষাধিক কোটি টাকা মঞ্জুর হলেও মাত্র ৫৬ হাজার কোটি টাকা বণ্টন সম্ভব হয়েছে। এর কারণ, রাজ্যে রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে লকডাউন হওয়ায় শিল্প মহল ওই ঋণ নিয়ে উঠতে পারছে না। লোন নিয়েও কোথাও বিনিয়োগ করা যাচ্ছে না। আর তাই ধীরে ধীরে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আনলক ৩ পর্বে যেতে চাইছে কেন্দ্র। যার উদ্দেশ্য হবে, নির্দিষ্ট জোনে কঠোর সতর্কতা গ্রহণ। কিন্তু বাকি অংশগুলিতে অর্থনীতিকে স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনা। আর সেজন্য আগামী তিন মাসের মধ্যেই জীবন-জীবিকা মূল স্রোতে নিয়ে আসা জরুরি। একটি আর্থিক বছরের প্রত্যেক ত্রৈমাসিক যদি এভাবে লেনদেনের প্রেক্ষিতে স্তব্ধ হয়ে থাকে, তাহলে সব জীবিকাই আগামী বছর ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই আশঙ্কাতেই কেন্দ্র ও রাজ্য চাইছে যত দ্রুত সম্ভব অর্থনীতির চাকা সচল করতে। সেই লক্ষ্যে তালিকা তৈরি হচ্ছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ সেক্টরের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen