বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন নেই, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

প্রফেসর, শিক্ষক ও অন্য কর্মীদের ব্যাপারে উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনমন্ডলীকে অনেক বেশি সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।

September 16, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

রাজনীতির কারবারিরা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। প্রয়োজন ফুরোলে তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে। এটা তাঁদের বুঝতে হবে। এমন অভিমত দিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁর রায়ে জানালেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে ইন্ধন দিচ্ছেন বহিরাগতরা। যার জেরে সেখানে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, ওই তিন শিক্ষার্থী সম্পর্কে ৮ সেপ্টেম্বর যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা বিশ্ববিদ্যালয় পালন করেছে। ফলে তাঁদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তাও সেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজ করা হল। উল্লেখ্য, ওই তিন পড়ুয়াও সেখানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার পক্ষে মুচলেকা দিয়েছেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপাচার্যের  সুরক্ষার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে শান্তিনিকেতন থানায় নিরাপত্তারক্ষী রাখার দরকার নেই বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। 


আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ আদালতকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্তত ৬০-৭০ জন শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। যা আদালতের খতিয়ে দেখা দরকার। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেইসব সাসপেনশনের নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়কে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পর্যালোচনা করতে বলেছে আদালত। যেসব প্রফেসর, শিক্ষক ও কর্মীর চাকরি গিয়েছে বা বেতন ও অন্যান্য ভাতা বন্ধ হয়ে আছে, বা বদল হয়েছে, তাঁরা তার জন্য আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন বলে অভিমত দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আদালতের এদিনের নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয় যেন নিজে থেকে আদালতের নির্দেশ সংশোধন বা বদল করার চেষ্টা না করে। রায়ে এও বলা হয়েছে, প্রফেসর, শিক্ষক ও অন্য কর্মীদের ব্যাপারে উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনমন্ডলীকে অনেক বেশি সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। অনাবশ্যক বিরোধ এড়াতে হবে। আশা করা যায়, উপাচার্য পুরো বিষয়টিকে সেভাবেই দেখবেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen